অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান। আগামিকাল মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারিত হচ্ছে। নতুন মন্ত্রীরা মঙ্গলবার শপথ নেবেন। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে এবং উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ এখন দিল্লিতে। সূত্রের খবর, মন্ত্রিসভার তালিকায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ছাড়পত্র দিয়েছে। সম্ভবত, শিণ্ডে এবং ফড়ণবিশ সোমবারই মুম্বই ফিরছেন।
গত ৩০ জুন মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন যথাক্রমে শিণ্ডে এবং ফড়ণবিশ। তারপর প্রায় ৪০ দিন কাটতে চলল। এখনও পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভা গঠিত হয়নি। এর আগে ফড়ণবিশ তালিকা নিয়ে দিল্লি যান। তখন তাঁর সঙ্গে শিণ্ডে যেতে পারেননি। অসুস্থতার কারণে তাঁকে বিশ্রাম নিতে বলা হয়েছিল। গত সপ্তাহে শিণ্ডে দিল্লি যান। তার পরেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মন্ত্রিসভার তালিকায় অনুমোদন দেন। তবে কোন দলের কতজন মন্ত্রী হচ্ছেন, তা স্পষ্ট নয় এখনও।
এতদিন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভা না হওয়ায় শিবসেনা এবং বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে অসন্তোষ জমা হচ্ছিল। প্রায় ৪০ দিন মহারাষ্ট্র চলল কোনও পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভা ছাড়াই। ফলে সরকারি দফতরগুলিতে একটা গা ছাড়া মনোভাব দেখা গিয়েছিল। সরকারের এই পরিস্থিতিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি শিবসেনার উদ্ধব গোষ্ঠী। উদ্ধব সম্প্রতি টুইটে লিখেছিলেন, মন্ত্রিসভা চলছে মাত্র দুজনকে নিয়ে। শিবসেনার পরস্পর যুযুধান দুই শিবির (একনাথ শিণ্ডে এবং উদ্ধব ঠাকরে) এখন তাকিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিকে।
শীর্ষ আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে। কারা আসল শিবসেনা, তার এখনও ফয়সালা হয়নি। কিছুদিন আগে শিণ্ডে শিবির জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে তাদের রাজনৈতিক স্বীকৃতি দেওয়ার আবেদন করেছিল। কিন্তু শীর্ষ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে বলে, মামলা ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত তারা যেন স্বীকৃতির ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত না নেয়। ফলে উদ্ধব শিবির কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। শীর্ষ আদালত বিষয়টি সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠাতে পারে।
Be the first to comment