দ্বীপরাষ্ট্রে সংকট ঘনিয়ে উঠছিল বেশ কিছুদিন ধরে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয়ে একমত হতে পারছিলেন না শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপাল শ্রীসেন ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে। গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট আচমকা প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী হন শ্রীলঙ্কার স্ট্রংম্যান বলে পরিচিত মাহিন্দ্রা রাজাপক্ষে। তিনি ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। গত নির্বাচনে হেরে বিদায় নেন। পর্যবেক্ষকদের মতে, চিনের সাহায্যে তিনি ক্ষমতায় ফিরে এসেছেন।
এর আগে রাজাপক্ষে যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, চিনের থেকে ঋণ নিয়েছিলেন বিপুল পরিমাণে। তাঁর আমলে শ্রীলঙ্কার প্রায় সব পরিকাঠামো প্রকল্পই চিনের সাহায্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল। কিন্তু বিক্রমসিংহে এসে চিনের ওপরে নির্ভরতা কমিয়ে ফেলেন। তার বদলে তিনি ভারত থেকে সাহায্য নিতে থাকেন। রাজাপক্ষে ফের ক্ষমতায় আসায় সুবিধা হল চিনের।
কিছুদিন আগে মালদ্বীপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চিন। সেখানকার প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন চিনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি কিছুদিন আগে নির্বাচনে হেরে বিদায় নিয়েছেন। নতুন যাঁরা ক্ষমতায় এসেছেন তাঁরা ভারতের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। পর্যবেক্ষকদের মতে, শ্রীলঙ্কায় মালদ্বীপের বদলা নিতে চাইছে চিনারা। ভারতের বিদেশমন্ত্রক থেকে এসম্পর্কে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, আমরা শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।
Be the first to comment