সংসদে মহুয়ার ভাষণ বিশ্বের অন্যতম সেরা, ভূয়সী প্রশংসা কৌশিক বসুর

Spread the love

লোকসভায় একের পর এক বাক্যবাণে কেন্দ্রকে বিদ্ধ করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কখনও সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আবার কখনও লকডাউন, পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে । তুখোড় ইংরেজিতে তৃণমূল সাংসদের আগাগোড়া ঝাঁঝালো বক্তব্য নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়েছে ৷ আর তার মধ্যেই বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রাক্তন প্রধান অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুর ঢালাও সার্টিফিকেট পেলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ ৷ মহুয়ার সংসদের ভাষণকে বিশ্বের সেরা সংসদীয় বক্তব্য বলললেন বাঙালি অর্থনীতিবিদ ৷

সেদিন মহুয়ার বক্তব্যে উঠে এসেছিল কৃষি আইন, পরিযায়ী শ্রমিক, দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি সহ একাধিক প্রসঙ্গ ৷ বাজেট অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আলোচনা করার সময় দেশের বিচার ব্যবস্থার কড়া সমালোচনা করেন ৷ এই প্রসঙ্গে নিজের বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতিকেও টেনে এনেছিলেন ৷

এরপর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে মহুয়ার বিরুদ্ধে স্বাধীকারভঙ্গের নোটিস দেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল ৷ বিষয়টি জানতে পেরে মহুয়া টুইটে লেখেন, “ভারতের অন্ধকারতম ঘণ্টায় সত্যি বলার জন্য আমার বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিস আনা হলে, সেটা আমার জন্য সৌভাগ্যের হবে ৷” কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ৷ যদিও মহুয়ার মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় ৷

বিতর্কিত অংশ বাদ দিয়ে মহুয়ার চাঁচাছোলা বক্তব্যে মুগ্ধ অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু ৷ টুইট করে তৃণমূল সাংসদের প্রশংসায় ভেসেছেন তিনি ৷ মহুয়ার বক্তব্য টুইট করে তিনি লিখেছেন, “কৃষি আইন, পরিযায়ী শ্রমিক, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি নিয়ে মহুয়ার মৈত্র্যর ভাষণ হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মতো ৷ এই ভাষণকে বিশ্বের অন্যতম সেরা সংসদীয় বক্তব্য বলে মনে করছি ৷”

সেদিন কী বলেছিলেন মহুয়া ? কৃষক আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, “কৃষকদের জন্য কোনও মন্ত্রীকে নিযুক্ত করা হয়নি ৷ অথচ সুইডেনের পরিবেশকর্মী বা মার্কিন পপ স্টার টুইট করায় হামলে পড়ল বিদেশমন্ত্রক ৷” পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে মহুয়ার বক্তব্য ছিল, “হঠাৎ লকডাউনের সিদ্ধান্তে সমস্যার মধ্যে পড়েছিল শত শত মানুষ ৷ কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে ৷ পরিযায়ী শ্রমিকরা মাইলের পর মাইল হেঁটে বাড়ি ফিরেছেন ৷ অথচ সেই পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কিছুই করল না সরকার ৷” অর্থনৈতিক বৃদ্ধি সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, “গতবছর উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ছিল সবচেয়ে কম ৷”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*