মহুয়া মৈত্রর ক্ষোভপ্রকাশ অপরিণত, অবৈজ্ঞানিক ও প্রতিশোধমূলক, কড়া সমালোচনায় বিদ্বজ্জনরা

Spread the love

প্রবাসী চিকিৎসকদের আক্রমণ করায় তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে সরব হলেন বাংলার বিদ্বজ্জনদের একাংশ। মহুয়া মৈত্রের নাম না করেও ‘এক সাংসদ’ উল্লেখ করে ওই বিবৃতিতে তাঁদের অভিযোগ, সাংসদের এই ক্ষোভপ্রকাশ অপরিণত, অবৈজ্ঞানিক এবং প্রতিশোধমূলক। কয়েকদিন আগে পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি ‘চূড়ান্ত বিরক্তিকর’ দাবি করে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দিয়েছেন প্রবাসী বাঙালি চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ।

তাঁদের অভিযোগ ছিল, প্রথমত, পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা চূড়ান্ত সংকটে রয়েছে, তাঁদের ঠিকমত পিপিই দেওয়া হচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, করোনার নমুনা কম পরীক্ষা হচ্ছে। তৃতীয়ত, করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কম করে দেখানো হচ্ছে। এরপরই টুইট করে ওই চিকিৎসকদের একহাত নেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র।

তিনি টুইটে লিখেছেন, “ওই প্রবাসী বাঙালিদের প্রতি আমার প্রশ্ন, অর্থনৈতিক ভাবে উন্নত দেশ হয়ে ইংল্যান্ড ও আমেরিকা, যে দেশগুলিকে আপনারা নিজেরা সাগ্রহে সাদরে গ্রহণ করে নিয়েছেন— সেখানে খুব খারাপ ভাবে করোনা মোকাবিলা করা হচ্ছে। সরকারের সংযোগ ব্যবস্থা খুবই খারাপ। পিপিই সরবরাহ করা হচ্ছে না, স্বাস্থ্যকর্মীরা চূড়ান্ত সঙ্কটে। সেই বাস্তবচিত্র তুলে ধরে কেন ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্যসচিব বা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বা স্টেট গভর্নরদের এমন চিঠি লেখেন না? উত্তরটা আমি জানি। এখানে হিরো হওয়া অনেক সোজা। ঠিক তো?”

রবিবার মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে ‘দ্বিচারিতা’র অভিযোগও তুলেছেন এই বিশিষ্টজনেরা। তাঁরা লিখেছেন, ‘‘এই সাংসদই সংসদে বলেছিলেন, সরকারের সমালোচনা করা মানেই দেশের বিরোধিতা করা নয় এবং বাক স্বাধীনতার অধিকার হরণ করা ফ্যাসিস্ত মনোভাবের লক্ষণ। তা হলে কেন রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমালোচনাকে রাজ্যবিরোধী বলা হবে।’’ তা ছাড়া ওই চিকিৎসক-বিজ্ঞানীরা “দেশে বসবাস করেন না বলে তাঁরা রাজ্যের কি সমালোচনাও করতে পারবেন না?”— এ প্রশ্নও তুলেছেন বিদ্বজ্জনেরা।

বিবৃতির সই করেছেন পরিচালক তরুণ মজুমদার, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, অনীক দত্ত, অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী, শ্রীলেখা মিত্র, সঙ্গীতশিল্পী দেবজ্যোতি মিশ্র, অনিন্দ্য বসু, উপল সেনগুপ্ত, কবি মন্দাক্রান্তা সেন, চিত্রশিল্পী সমীর আইচ, ওয়াসিম কপূর, রাজ্যের প্রাক্তন আমলা অর্ধেন্দু সেন, শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*