বাদল অধিবেশনের মধ্যেই সরগরম হয়ে উঠল লোকসভা। কারণ এবার বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রিয় সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র বিজেপি সাংসদকে বিহারি গুন্ডা বলে আক্রমণ করেছেন। এই অভিযোগ নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। তথ্য–প্রযুক্তি মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মহুয়া এই মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ সপাটে উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ।
তবে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তা অস্বীকার করলেও ঝাড়খণ্ডের গোড্ডার এই সাংসদের অভিযোগ, ‘তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের করা অবমাননাকর ভাষা উত্তর ভারতীয়দের পাশাপাশি হিন্দিভাষীদের তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবনা প্রকাশ করেছে। ‘বিহারি গুন্ডা’ বলে শুধু বিহারি নয়, এখানে সমস্ত হিন্দিভাষীদের অবমাননা করা হয়েছে।’ যা নিয়ে এখন জাতীয় রাজধানীতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
এই অভিযোগ তোলার পাশাপাশি লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার উদ্দেশেও একটি টুইট করেন নিশিকান্ত দুবে। তাঁর বক্তব্য, ১৩ বছরের সংসদীয় জীবনে এই প্রথম তাঁকে এতটা ‘ঘৃণ্য’ শব্দ শুনতে হল। মহুয়া মৈত্র সংসদে একবার নয়, পরপর তিনবার ‘বিহারি গুন্ডা’ শব্দটি প্রয়োগ করেছেন। আর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহুয়া মৈত্র। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ পাল্টা বলেন, ‘কোরামের অভাবে সংসদীয় কমিটির বৈঠকই হয়নি। কোনও সদস্য উপস্থিতই ছিলেন না। তাহলে তিনি কীভাবে কাউকে এই ধরনের কথা বলতে পারেন?’ এক্ষেত্রে তিনি উপস্থিতির তালিকাও খতিয়ে দেখতে বলেছেন। এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এই অভিযোগ সত্য না মিথ্যা? যার জবাব এখনও মেলেনি।
উল্লেখ্য, পেগাসাস ইস্যু নিয়ে উত্তাল সংসদ। এই ইস্যুতে আলোচনার জন্য কমিটির চেয়ারম্যান শশী থারুর তথ্য–প্রযুক্তি মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন। এই বৈঠকে কমিটির ৩১ জন সদস্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৯ জন। এক বিজেপি সাংসদের বক্তব্য, পেগাসাস ইস্যুতে ডাকা ওই বৈঠকে অ্যাটেন্ডেন্স রেজিস্ট্রারে কেউ সই করেননি। ‘বিহারি গুন্ডা’ বিতর্কে উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। কোরামের অভাবে বৈঠক পিছিয়ে যায়।
Be the first to comment