বেশি বয়সে’ সন্তান জন্মেছে। তাই ‘লোকলজ্জার’ ভয়ে ষষ্ঠ সন্তানকে খুনের অভিযোগ সদ্যোজাতর মা-বাবার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত মা-বাবাকে। এই বেনজির নৃশংসতায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ময়নাগুড়িতে।
সোমবার সকালে ময়নাগুড়ির সাপটিবাড়ি এলাকায় একটি পানা পুকুর থেকে গলায় ফাঁস লাগা অবস্থায় উদ্ধার হয় সদ্যোজাত শিশুকন্যার দেহ। দেহ উদ্ধারের পর তদন্তে নেমে পুলিস বাচ্চাটির বাবা দীলিপ চক্রবর্তী (৫৭) ও মা সুনীতি চক্রবর্তী( ৪৯)-কে গ্রেফতার করে।
ময়নাগুড়ি থানার আই সি নন্দ কুমার দত্ত জানান, প্রাথমিক জেরায় জানা গেছে দিলীপ চক্রবর্তী নিউ কোচবিহার এলাকার বাসিন্দা। কয়েক বছর ধরে জলপাইগুড়ি ফুলবাড়ি এলাকায় ট্রাকের লেবারের কাজ করত সে। পাশাপাশি পৌরহিত্যও করত সে। এভাবেই খুব কষ্টে ৫ ছেলে মেয়ে নিয়ে কষ্টে সংসার চলত এই দম্পতির।
তিনি আরো বলেন, ৫ ছেলে মেয়ের বেশির ভাগেরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এরমধ্যে ‘বেশি বয়সে’ ফের সন্তান সম্ভবা হয় সুনীতি। তাই আত্মীয়ের বাড়িতে এসে ষষ্ঠ সন্তানকে শ্বাসরোধে করে খুন করে পানা পুকুরে ফেলে দেয় চক্রবর্তী দম্পতি।
জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানিয়েছেন, ঘটনাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। একদিকে অভাব অন্যদিকে ‘লোকলজ্জা’। এই দুয়ের জাতাকলে পড়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন কি না জানতে দম্পতিকে ফের জেরা করা হবে।
Be the first to comment