মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হলেন ময়নাগুড়ি সুভাষনগর হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক হরিদয়াল রায়। এই ঘটনায় তিনি ছাড়াও দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন আরও ৪ জন। নিয়মবিরুদ্ধভাবে প্রশ্নপত্রের সিল খোলায় তাঁকে সাসপেন্ড করল রাজ্য শিক্ষা দফতর। যদিও তদন্ত চলাকালীনই তাঁকে সাসপেন্ড করার সুপারিশ করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ঘটনাটি ঘটে মাধ্যমিকের গণিত পরীক্ষার দিন। নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলার অভিযোগ ওঠে হরিদয়াল রায়ের বিরুদ্ধে।
এছাড়াও অভিযোগ ওঠে, স্কুলের সুনামের জন্য তিনি বিশেষজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দিয়ে প্রশ্নপত্র সমাধান করিয়ে ছাত্রদের দিতেন। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি প্রথম নজরে আনেন স্কুল পরিদর্শক এস আই বিশ্বনাথ ভৌমিক। মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, দোষ প্রমাণ হলে হরিদয়ালবাবুর শিক্ষারত্ন কেড়ে নেওয়া হবে। এদিন দোষী প্রমাণিত হওয়ার পরও একই কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। পর্ষদ সূত্রে আরও জানা গেছে, প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ডে পর্ষদের অনুমতি ছাড়াই সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলায় এস আই বিশ্বনাথ ভৌমিক সহ কয়েকজন স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
Be the first to comment