মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর দেড়দিন কেটে গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ চলছে। বৃহস্পতিবার সকালেও পাওয়া গিয়েছে তৃতীয় দেহ। এরই মধ্যে প্রবল যানজটে জেরবার দক্ষিণ শহরতলির বিস্তীর্ণ অংশ। ফলে চরম বিপাকে নিত্যযাত্রী আর ছাত্রছাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বিদ্যাসাগর সেতুতে প্রবল যানজট শুরু হয়। মালবাহী গাড়ির লাইন পড়ে যায়। সঙ্গে আটকে যায় স্কুলবাস, বাস ও অন্যান্য গাড়িও। সকাল থেকেই খিদিরপুরের দিকে রাস্তায় গাড়ির চাপ রয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে ট্রাক বা বড় গাড়ির বিদ্যাসাগর সেতুতে ওঠা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যাসাগর সেতুতে ওঠার মুখেই ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে গাড়িগুলি। ফলে পরিস্থিতি আস্তে আস্তে আয়ত্তে আসতে শুরু করে। তবে খিদিরপুরের দিকের রাস্তা এমনিতেই সংকীর্ন হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশকে।
কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে সকাল থেকেই সিজিআর রোড, হাইড রোড, তারাতলা রোড, সাহাপুর রোড, দুর্গাপুর ব্রিজ, বিদ্যাসাগর সেতু ও এনআর রোডে ট্রাফিকের চাপ অনেকটাই বেশি। ফলে এই সব রাস্তায় গাড়ির গতি খুব শ্লথ। ট্রাফিক পুলিশের তরফে আবেদন করা হয়েছে সমস্ত ছোট গাড়ি শহরে ঢোকার জন্য বিদ্যাসাগর সেতু না ধরে হাওড়া ব্রিজ দিয়ে কলকাতায় ঢোকে। তাহলে যানজটের সমস্যা কিছুটা কমবে।
তবে এই যানজটের জন্য সবথেকে সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। অফিসে যাওয়ার বাস পেতে তাঁদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এমনকী ট্যাক্সি বা ওলা-উবের পেতেও সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নিত্যযাত্রীদের একাংশ। এই দুর্ভোগ মিটে কবে যে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে সেটাই তাঁদের আশঙ্কা।
Be the first to comment