সেনাবাহিনীর কাছে খবর ছিল সীমান্তের ওপারে অপেক্ষায় আছে ৬০০ জঙ্গি। সুযোগ পেলেই তারা ঢুকতে চেষ্টা করবে ভারতে। সেইমতো সীমান্তে বাড়ানো হয়েছিল পাহারা। মঙ্গলবার পাকিস্তান সীমান্তে অনুপ্রবেশ রুখতে গিয়েই জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারালেন সেনাবাহিনীর এক মেজর ও তিন জওয়ান।
প্রাক্তন ক্রিকেটার ইমরান খান পাকিস্তানে ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসার পরে অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন, এবার জঙ্গিদের তৎপরতা বাড়বে। কারণ ইমরানকে ক্ষমতায় এনেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। ইমরান প্রধানমন্ত্রী হলে সেনাকর্তারা অবাধে পাকিস্তানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গিদের ভারতে ঢুকে নাশকতা চালাতে উৎসাহ দেবেন।
রবিবার জম্মু থেকে এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করার পরে পুলিশ জানতে পারে, পাকিস্তানের কর্তাদের নির্দেশ অনুযায়ী সে দিল্লিতে এক ব্যক্তিকে গ্রেনেড সরবরাহ করতে যাচ্ছিল। তার কাছে আটটি গ্রেনেড পাওয়া যায়। গ্রেনেডগুলি সম্ভবত চোরাপথে এসেছিল পাকিস্তান থেকে। দিল্লিতে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বানচাল করার জন্য বোমাগুলি ব্যবহার করার কথা ছিল।
পর্যবেক্ষকদের ধারণা মঙ্গলবার যে অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল, তাদের মধ্যে ছিল পাকিস্তানের সেনা জওয়ানরাও। তাদের হাতে ছিল উন্নত অস্ত্রশস্ত্র। ভারতের যে সেনারা সীমান্তে পাহারা দিচ্ছিল, তারা সম্ভবত ভাবতেই পারেনি অনুপ্রবেশকারীদের হাতে এত উঁচুমানের অস্ত্র আছে। তাই ভারতের তরফে এত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
Be the first to comment