কয়লা কেলেঙ্কারিতে ফের তলব রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটককে। বুধবার দিল্লির অফিসে ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) তলব করল তাঁকে। তবে মন্ত্রীর দাবি তিনি নোটিশ পাননি। সেই কারণে হাজিরার কোনও প্রশ্নই উঠছে না। খবর ঘনিষ্ঠ সূত্রে।
এর আগেও একাধিকবার কয়লা কেলেঙ্কারির জন্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডেকে পাঠায় তাঁকে। কিন্তু, কোনওবারই ইডির মুখোমুখি হননি তিনি । বছরের শুরুতে অর্থাৎ ৭ ফেব্রুয়ারিও মলয় ঘটককে তলব করা হয়েছিল। তার আগে ২ ফেব্রুয়ারিও হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল ইডি। কিন্তু, দু’বারই কোভিডের অজুহাত দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে আরও বেশ কয়েক দফায় তাঁকে ডেকে পাঠায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কিন্তু, নোটিশ পেয়েও হাজিরা দেননি তিনি।
শুধু ইডি নয়, গত ৭ সেপ্টেম্বর কলকাতা থেকে আসানসোল মলয় ঘটকের ছয় ঠিকানায় হানা দেয় আর এক কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। আলিপুরেও তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বাড়িতে অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। এরপর ডালহৌসির সরকারি আবাসনে প্রায় সাড়ে আট ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চলে মলয়ের। সূত্রের খবর প্রাক্তন-বর্তমান মিলিয়ে সাত ইসিএল আধিকারিকের গ্রেফতারির পরেই মলয়ে ঘটকের বিরুদ্ধে কয়লা পাচার তদন্তের বেশ কিছু প্রমাণ হাতে এসেছে সিবিআই-এর। তার ভিত্তিতেই একের পর এক প্রশ্ন করা হয় আইন মন্ত্রীকে।
এরপর গত বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করেন আইন মন্ত্রী। ক্ষোভ উগরে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। সেই সময় তল্লাশি চালিয়ে মাত্র ১৪ হাজার টাকা পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা সূত্রের খবর। মলয় ঘক বলেন, ‘আমার যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট অর্থাৎ এমএলএ এবং মন্ত্রী হিসাবে যেখানে টাকা জমা হয় সেখানে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন দেব বলে তুলে রেখেছিলাম সেটা পেয়েছে। ১৪ হাজার টাকা ক্যাশ পান। কয়েকটি সিম আমায় দিয়ে গিয়েছেন।’
সূত্রের খবর, এর আগে সিম ছাড়াই মলয়ের তিনটি ফোন বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। তবে শুধু সিবিআই নয়, সাড়াঁশি চাপ দিচ্ছে ইডিও। কয়লাপাচার কাণ্ডে বারবার তাঁখে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই সকল হাজিরাও এড়িয়েছেন মন্ত্রী। এ দিনও, হাজিরা দেবেন না বলেই খবর মিলেছে ঘনিষ্ঠ সূত্রে। মন্ত্রী দাবি করেছেন, তিনি হাজিরার কোনও নোটিশ পাননি।
Be the first to comment