গঙ্গায় একে একে ভেসে আসছে পচাগলা মৃতদেহ ৷ উত্তরপ্রদেশ, বিহারে মতো রাজ্যগুলিতে এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে ৷ এবার মালদার ভূতনির কেশরপুরের গঙ্গায় ভেসে এল পচাগলা দেহ ৷ নদীপাড়ের বাসিন্দাদের দাবি, প্রায় রোজই প্লাস্টিকে মোড়া মৃতদেহ নদীতে ভাসতে দেখেন তাঁরা ৷
এই খবর চাউর হতেই আজ শোরগোল ছড়ায় মালদার মানিকচক ও ভূতনি এলাকায় ৷ খবর পেয়ে আজ ভূতনির কেশরপুর এলাকায় নদী থেকে একটি দেহ উদ্ধার করে ভূতনি থানার পুলিশ ৷ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ৷ গঙ্গা থেকে দেহ উদ্ধার নিয়ে প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলেছে এলাকার মানুষজন ৷ গোটা ঘটনা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে ৷
গঙ্গাপাড়ের মানুষজনের দাবি, কয়েকদিন ধরেই গঙ্গায় ভেসে যাচ্ছে মৃতদেহ ৷ কিছু দেহ খোলা থাকলেও কয়েকটি মৃতদেহ প্লাস্টিকে মোড়া অবস্থায় ভেসে যেতে দেখেছেন তাঁরা ৷ কিন্তু পুলিশ বা প্রশাসন ওই দেহগুলি উদ্ধার করছে না বলে অভিযোগ তাঁদের ৷ এই বিষয়ে কেশরপুর কলোনির বাসিন্দা সীতারাম মণ্ডল বলেন, “গতকাল রাতেও দুটি দেহ ভেসে গিয়েছে ৷ চার পাঁচদিন ধরে গঙ্গায় মৃতদেহ ভেসে যেতে দেখা গিয়েছে ৷ কিছু দেহ প্লাস্টিক মোড়া ৷ কিছু দেহ এমনিই ভেসে যাচ্ছে ৷ পুলিশ প্রশাসন কী করছে জানি না ৷”
করোনা মোকাবিলায় আজ ভূতনির কিছু এলাকা স্যানিটাইজ করতে গিয়েছিল রেড ভলান্টিয়ারদের একটি দল ৷ সেই দলে ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দেবজ্যোতি সিনহা ৷ তিনি বলেন, “বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আমরা মানিকচকের হীরানন্দপুর ও উত্তর চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা স্যানিটাইজ করতে এসেছিলাম ৷ গ্রামবাসীরা আমাদের জানায়, গতকাল দুপুর থেকে প্লাস্টিক প্যাকেটে মোড়া দেহ গঙ্গা দিয়ে ভেসে যাচ্ছে ৷ আজ একটি দেহ নদীর কিনারায় আটকে ছিল ৷ আরও একটি গেরুয়া প্যাকেট মোড়া একটি দেহ ভেসে যেতে দেখেছি ৷ উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে করোনায় মৃতদের দেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দিতে শুনেছি ৷ আজ নদীতে দেহ দেখে আমি তখনই প্রশাসনকে জানিয়েছি ৷ প্রশাসনের উচিত, গোটা ঘটনা তদন্ত করা এবং দেহগুলির করোনা পরীক্ষা করা ৷”
Be the first to comment