প্রতীকী ছবি,
বজ্রপাতের কারনে মৃত্যু হলো এক কিশোর সহ মোট চারজনের। গুরুতর আহত অবস্থায় মালদা মেডিকেল ও চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৮ জন। মালদার চাঁচল ও রতুয়ার ঘটনা। জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে রতুয়া ২ নম্বর ব্লকের পরাণপুরের ইদগাহ সংলগ্ন জমিতে কয়েকজন কৃষক জমিতে চাষ করছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাতের সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে তাঁরা পাশেই একটি মাটির ঘরে আশ্রয় নেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে বজ্রপাত হয়। আহত হন কৃষকরা ৷ তাঁদের উদ্ধার করে রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে হাসান আলি (৩০), আনারুল হক (৩০) ও শেখ হোসেনকে (২৫) মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুই কৃষককে স্থানান্তরিত করা হয় মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।
স্থানীয় বাসিন্দা মহঃ আলিকুল আলম বলেন, বজ্রপাতের কারনেই ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দু’জনকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এদিকে, চাঁচলের শ্রীরামপুরে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরের। জানা গিয়েছে, কিশোরের নাম কিষাণ দাস (১৭) । রবিবার শ্রীরামপুরের একটি জমিতে কয়েকজন কৃষক চাষ করছিলেন। মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলে তাঁরা একটি মন্দিরে আশ্রয় নেন। হঠাৎ সেখানে বজ্রপাত হয় ৷ গুরুতর আহত হন পাঁচজন। আহতদের চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কিষাণ দাস নামে এক কিশোরকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রহিম আলি ও শুক্রু মহম্মদকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
Be the first to comment