আগামী ১৭ অক্টোবর কংগ্রেসে সভাপতি নির্বাচন। নির্বাচনের আগেই তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ মল্লিকার্জুন খাড়্গে। সোমবার তিনি জানিয়েছেন, তিনি “যৌথ নেতৃত্ব”-তে বিশ্বাশী এবং সভাপতি নির্বাচিত হলে সকল কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে দলকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবেন। সোমবার অসমে উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির কংগ্রেস প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করার সময় তিনি বলেন, সভাপতি নির্বাচিত হলে উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে নেওয়া সিদ্ধান্ত গুলি বাস্তবায়নের চেষ্টার পাশাপাশি ‘নতুন প্রজন্ম’-কে তুলে আনার চেষ্টা করবেন। এর পাশাপাশি দলে নারী ক্ষমতায়নে পদক্ষেপ করাও তাঁর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
খাড়্গে বলেন, “আমি আলোচনা ও যৌথ নেতৃত্বে বিশ্বাসী। আমাকে অনুসরণ করে পিছনে নিন্দা করুক, এটা আমি পছন্দ করি না। একসঙ্গে দল ও সংগঠনকে মজবুত করার চেষ্টা করব।” রাজ্যসভার সাংসদ জানিয়েছে সনিয়া গান্ধী তাঁকে বাড়িতে ডেকে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “আমি সনিয়াজিকে তিনটি নাম প্রস্তাব দেওয়ার কথা বলেছিলাম। কিন্তু তিনি জানিয়েছিলেন, আমি দলকে নেতৃত্ব দি, এটাই তিনি চান। সনিয়া ও রাহুল গান্ধী উভয়েই চেয়েছেন গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে দলের সভাপতি নির্বাচন হোক।”
দলীয় সদস্য ও কর্মীদের কাছে খাড়্গে আবেদন জানিয়েছেন, বিজেপি দেশে ভাঙন ধরাতে চাইছে এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকেও হেনস্থা করতে চাইছে, সেই কারণে ঐক্যবদ্ধভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করাটা প্রয়োজনীয়। খাড়্গে বলেন, “কংগ্রেসকে জওহরলাল নেহেরু, ইন্দিরা ও রাজীব গান্ধীর নীতিকে রক্ষা করা। সনিয়া গান্ধীর কথা শুনে চলাও আমাদের দায়িত্ব কারণ তিনি দীর্ঘ ২০ বছর কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন এবং জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাও রয়েছে।” উল্লেখ্য খাড়্গে ছাড়াও তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের দিকে গোটা দেশ তাকিয়ে রয়েছে। একদিকে যেমন জমি ফিরে পেতে রাহুলের নেতৃত্বে ভারত জোড়ো যাত্রা চলছে, অন্যদিনে দলের আগামী নেতা নিয়ে উৎসাহ রয়েছে। এখন কে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হন, সেটাই এখন দেখার।
Be the first to comment