‘সর্বদল বৈঠকে কংগ্রেস থেকে যোগ দিচ্ছেন খাড়গে, রাহুল, কি স্ট্র্যাটেজি নেয় কংগ্রেস সেটাই এখন দেখার

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- ৪৮ ঘণ্টা আগে দেশে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়ে গিয়েছে। শোকের আবহ থেকে এখনও বেরোতে পারেনি আমজনতা। সরকারের তরফেও যে তৎপরতা নেই, তেমন নয়। বুধবার নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রীগোষ্ঠীর বৈঠকে একাধিক কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। বৃহস্পতিবার বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য সর্বদল বৈঠকও ডাকা হয়েছে। বিরোধীরা সর্বত ভাবে সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েও এই জঙ্গি হানার জন্য দায়ি করছে সরকারকেই। অন্যদিকে, তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই সর্বদল বৈঠকে থাকবেন না খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভোটমুখী বিহারে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। তাই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস।
পহেলগাঁও ইস্যুতে আজ সন্ধে ৬টায় সর্বদল বৈঠকে সব গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছে কেন্দ্র। ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গোটা পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে অবহিত করবেন। আগামী দিনে এই হামলার প্রত্যাঘাতে কী কী পদক্ষেপ করা হতে পারে, ভারত সরকার এ পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ করেছে, সবটাই ওই বৈঠকে তুলে ধরা হবে। বক্তব্য রাখতে পারেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরও। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না।
বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যায় সর্বদল বৈঠকের আগেই এদিন সকালে দিল্লিতে কার্যনির্বাহি কমিটির বৈঠকে বসে কংগ্রেস। কংগ্রেস সূত্রের খবর, এই বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত হয় আজ সন্ধ্যায় লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে উপস্থিত হবেন কেন্দ্রের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে। কিন্তু, সেই বৈঠকেই সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে কংগ্রেস। পাশাপাশি, আজকের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর না থাকা নিয়েও সোচ্চার হবে কংগ্রেস বলেই জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, পিএমও সূত্রের খবর, বিহারের মধুবনীতে প্রধানমন্ত্রীর পূর্বঘোষিত কর্মসূচি রয়েছে। সেখানে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন মোদি। পঞ্চায়েতি রাজ দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। প্রথমে এই কর্মসূচি রীতিমতো জাঁকজমক করার কথা ছিল। কিন্তু পহেলগাঁও আবহে সেটা অনেকটা অনাড়ম্বর করা হচ্ছে। নীতীশ কুমারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর যৌথ কর্মসূচিও বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রশ্ন উঠছে। তাছাড়া এনডিএর জোটসঙ্গী জেডিইউ এই বৈঠকে কোনও প্রতিনিধি পাঠাবে না। তাঁদের দাবি, দলের সব নেতা বিহারে প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে ব্যস্ত। সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*