উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকার যে সিদ্ধান্ত তৃণমূল নিয়েছে, তাতে বিস্মিত জাতীয় স্তরের বিরোধীরা। প্রশ্ন উঠেছে, তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তে বিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরবে না তো? দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার ওই ঘোষণার পর দাবি করেন, ফাটল ধরার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। আমরা তো কাউকেই ভোট দিচ্ছি না। তিনি বলেন, আমরা চাই, বিরোধী ঐক্য অটুট থাক। তবে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বলেন, ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে বিরোধী জোট হবে না। জোট হবে ভোটের পর। কারণ বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না।
শুক্রবার কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেন, কেন তৃণমূল আচমকা এই সিদ্ধান্ত নিল, আমরা তার পিছনের কারণ খুঁজতে চেষ্টা করছি। আমরা চাই বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ থাকুক। তৃণমূল যতই দাবি করুক, তাদের সিদ্ধাম্তে বিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরবে না, এতে ওই ঐক্যে যে চিড় ধরবে, তা বলাই বাহুল্য।
বাংলার সদ্য প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে এনডিএ উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করার পরই তৃণমূল তা নিয়ে দলের নেতাদের মুখ খুলতে বারণ করে। তখনই বলা হয়েছিল, এ ব্যাপারে ২১ জুলাই বৈঠকের পর দলীয় সিদ্ধান্ত জানানো হবে। সেইমতো গতকাল বৈঠকের পর অভিষেক জানান, রাজ্যপাল হিসেবে ধনখড় তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে যে ভূমিকা নিয়েছিলেন, তাতে তাঁকে সমর্থনের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। এ ছাড়া নেত্রীর সঙ্গে আলোচনা না করেই যেভাবে একতরফা উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে মার্গারেট আলভার নাম ঘোষণা করা হল, তার প্রতিবাদেই তাঁকেও সমর্থন করা হবে না। তার অর্থ, তৃণমূল ভোটদানে বিরত থাকবে। তৃণমূলের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে এখন বিরোধী মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
Be the first to comment