অল ইন্ডিয়া মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমিন বা এমআইএম-কে রাজ্যে বিন্দুমাত্র জমি ছাড়তে প্রস্তুত নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে রাজ্যে হায়দরাবাদের ওই সংখ্যালঘু সংগঠনের কার্যকলাপ আটকাতে মাঠে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই সংগঠন রাজ্যে যাতে কোনরকম রাজনৈতিক কার্যকলাপ না করতে পারে সে ব্যাপারে রাজ্যের সব জেলার পুলিশ সুপারকে রীতিমত ফতোয়া দিয়ে দিয়েছেন তিনি।
সোমবার নবান্নে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজ্যের সমস্ত জেলার পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা। নবান্নের ওই বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিব ছাড়াও রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র , এডিজি আইন-শৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিং,কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মার মত পুলিশের শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই এ ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যে সংগঠন গড়ে তুলতে তৎপর হয়েছে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল। সংখ্যালঘুদের কল্যাণের নামে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস আদতে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে বলে ওয়াইসি সরব হয়েছেন। রাজ্যের সংখ্যালঘুদের একটি বড় অংশও তার স্বপক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এতেই তৃণমূল নেত্রী সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের অভিমত ।
মুখ্যমন্ত্রী নিজেও এমআইএম-এর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হয়েছেন। দিন কয়েক আগে কোচবিহারের এক সভায় তিনি বলেন, ‘এমআইএম হইতে সাবধান হোন। ওরা কিন্তু বিজেপির বি-টিম।ওরা বিজেপির কাছে টাকা নেয়। সংখ্যালঘুরা ভুল করবেন না। ওদের বাড়ি হায়দরাবাদে। এখানে নয়।’
এবার পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করাও এমআইএম-এর অগ্রগতি রুখতে সক্রিয় হলেন মমতা। কিন্তু তার এই সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একটি শিক্ষিত রাজনৈতিক দলের কার্যকলাপ এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে পুলিশ দিয়ে চেপে দমন করা সাংবিধানিক আদর্শ ও গণতন্ত্রের পরিপন্থী বলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
Be the first to comment