অনুপ্রবেশকারীদের দেশছাড়া করতে হবে বলিনি, ফেক ভিডিও ছেড়ে ছড়াচ্ছে বিজেপিঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Spread the love

বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে দেশছাড়া করতে হবে, সংসদে এই কথা তিনি বলেননি৷ তাঁর নামে বিজেপি বাজারে ভুয়ো ভিডিও ছড়াচ্ছে৷ বুধবার এই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

জাতীয় নাগরিকপঞ্জি এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে৷ যেখানে দেখা যাচ্ছে এখন তিনি যে কথা বলছেন, ২০০৫ সালে ঠিক তার উল্টো অবস্থানে ছিলেন ৷ সেই সময় কেন্দ্রে মনমোহন সিংহের নেতৃত্বে ইউপিএ-১ সরকার চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন এনডিএ জোটে থাকা তৃণমূলের সাংসদ। লোকসভায় সেই সময় চলছে বাদল অধিবেশন। তার মধ্যেই ৪ অগস্ট অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিতকরণ এবং বিতাড়নের দাবিতে লোকসভায় মুলতুবি প্রস্তাব জমা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, তা খারিজ হয়ে যায়। স্পিকার যদিও সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, কিন্তু সে দিন অধিবেশনের সেই সময়ে স্পিকারের চেয়ারে ছিলেন তৎকালীন ডেপুটি স্পিকার চরণজিৎ সিংহ অটওয়াল।

তাঁর মুলতুবি প্রস্তাব কেন বাতিল হয়েছে, জানতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতে বলতে বলতেই আচমকা ওয়েলে নেমে তিনি সোজা চলে আসেন স্পিকারের চেয়ারের সামনে। ডেপুটি স্পিকারের সামনে দাঁড়িয়ে বলতে শুরু করেন, জনগণের ইস্যু নিয়ে কেন তাঁকে বলতে দেওয়া হচ্ছে না— ইত্যাদি। কথা বলতে বলতে হঠাৎই ডেপুটি স্পিকারকে লক্ষ্য করে মমতা ছুড়ে মারেন তাঁর হাতে থাকা এক গোছা কাগজ। কিছুক্ষণ পরে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফাও দিয়ে দেন। যদিও সেই ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়নি।

এই ভিডিওটি ভুয়ো বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, “আগে সিপিএম ভোট করতে দিত না। একেক জনের দশটা পনেরোটা ভোটার কার্ড থাকত। আমি বলেছিলাম নো আইডেন্টিটি কার্ড নো ভোট। আমি সেটা নিয়েই পার্লামেন্টে গিয়েছিলাম। আজ বাজারে ফেক ভিডিও ছেড়ে আমার নামে মিথ্যে রটানো হচ্ছে। বিজেপির টাকায় এই ভিডিও হয়। এই ভিডিও ছড়াতে দেবেন না।

তবে শুধু একা মমতার নয়, এই ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদীরও একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। ২০১৪ সালের ওই ভিডিয়োতে মোদীর মুখে শোনা যাচ্ছে, কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে অসমের সব ডিটেনশন ক্যাম্প ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবেন। আর দ্বিতীয় ভিডিয়োয় মমতা দাবি করছেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে দেশছাড়া করতে হবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*