উত্তরপ্রদেশের পর এবার কর্নাটক, ফের বিজেপি সরকারের দ্বারা ‘বঞ্চিত’দের পাশে দাঁড়ালেন মমতা

নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, ২০১৯ ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতায় ফের মিছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷ বৃহস্পতিবার রাজাবাজার থেকে মিছিল শুরু করেন ৷ শেষ হয় মল্লিকবাজারে ৷ মিছিলে যোগ দেন তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারাও ৷ ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরূপ বিশ্বাসসহ প্রমুখ নেতারা ৷ CAA-এর বিরোধিতায় জনমত একত্রিত করতে গত সপ্তাহে কলকাতায় একাধিক মিছিল করেন তিনি ৷ আজ মিছিল শুরুর আগে রাজাবাজারে CAA বিরোধী মঞ্চ থেকে কড়া ভাষায় বার্তা দেন মমতা ৷ আবারও তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, বাংলায় CAA, NRC লাগু হতে দেবেন না ৷ তিনি বলেন, আমার আন্দোলন চলছে ৷ আমরা শান্তিতে আন্দোলন করব ৷ বিশ্বাস রাখুন ৷ আমাদের দল সংসদে লড়াই করেছে ৷ যতদিন জীবন আছে ততদিন লড়াই করব ৷

পাশাপাশি জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, দেশজুড়ে ছাত্রদের উপর অত্যাচার হচ্ছে ৷ তাঁদের আন্দোলনে বাধা দেওয়া হচ্ছে ৷ কেন ছাত্রদের আন্দোলনে বাধা দেওয়া হচ্ছে তা নিয়েও আজ সভামঞ্চ থেকে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি ৷ মিছিল শেষ করে মল্লিকবাজারের মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, অসমে NRC-এর জেরে ৪০ লাখ নাগরিকের নাম বাদ পড়েছে ৷ আমরা প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলাম ৷ কিন্তু তাঁদের গুয়াহাটিতে আটকে দেওয়া হয় ৷ লখনউতে পুলিশের গুলিতে ৪ জন মারা গেল ৷ আমরা প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলাম মৃতদের পরিবারকে সহানুভূতি জানাতে ৷ কিন্তু তাঁদের লখনউ এয়ারপোর্টের বাইরে বেরোতে দেয়নি ৷ ১৪৪ ধারার অজুহাতে আটকে দেওয়া হয়েছে ৷ তিনি বলেন, আমরা ঘৃণার বদলে ভালোবাসার রাজনীতি করছি ৷

পাশাপাশি বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন নষ্টের চক্রান্ত করছে বিজেপি ৷ তাদের পাতা ফাঁদে পা দেবেন না ৷ টাকা দিয়ে অশান্তি ছড়াচ্ছে বিজেপি ৷ আজ তিনি ঘোষণা করেন, কর্নাটকের মেঙ্গালুরুতে CAA বিরোধী বিক্ষোভের সময় মৃত ২ জনের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে ৷ ১৯ ডিসেম্বর মেঙ্গালুরুতে ওই বিক্ষোভে দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ৷