সরকারি চিকিৎসক এবং নার্সদের ক্ষেত্রে সুখবর। অবসর নিতে চলা সরকারি চিকিৎসক এবং নার্সদের আরও দুবছর কাজে রাখতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে অবশ্যই তাঁকে কাজের ক্ষেত্রে হতে হবে যোগ্য। থাকতে হবে কাজের উৎসাহও। আর তা থাকলেই অবসরের বয়সসীমা পেরিয়ে গেলেও মিলবে আরও দুবছর কাজের সুবিধা। এক প্রশাসনিক বৈঠকে জনপ্রতিনিধিদের প্রশ্নের উত্তরে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই সিদ্ধান্তে অনেক সরকারি ডাক্তার এবং নার্সরা উপকৃত হবেন।
বাংলা এক সংবাদপত্রের প্রকাশিত খবর মোতাবেক, প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন চিকিৎসক ও নার্সের সঙ্কট মেটানোর আর্জি জানাচ্ছিলেন অনেকেই। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। যেমনই বলা তেমনই কাজ! বিষয়টি অবিলম্বে কার্যকর করতে স্বাস্থ্যসচিব বিবেক কুমারকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই নির্দেশ মোতাবেক ইতিমধ্যে কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর মোতাবেক, আগামী এক বছরে ২৩০ জন সরকারি ডাক্তার এবং ২৮০ জন নার্সিং কর্মী অবসর নিতে চলেছেন। ফলে এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর এমন নির্দেশের ফলে অনেকেই উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য অধিকর্তার কাছে এই সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যভবনের কাছে আগামী একবছর কারা অবসর নিতে চলেছেন সেই সংক্রান্ত তালিকা রয়েছে বলে জানাচ্ছে ওই সংবাদমাধ্যম। শুধু ডাক্তারদের ক্ষেত্রে নয়, নার্সিং সার্ভিসের ক্ষেত্রেও সেই তালিকা রয়েছে। অবসরের বয়স ৬২। অন্যদিকে নার্সিং পরিষেবায় অবসরের বয়স ৬২। মমতার ঘোষণামতো কাজে ইচ্ছুক চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে তা বেড়ে হতে চলেছে ৬৪ এবং ৬৭।
নার্সদের ক্ষেত্রে বেড়ে হতে পারে ৬৪। নয়া এই প্রকল্পের একটা সুন্দর নামও দেওয়া হয়েছে। সেটি হল ‘পোস্ট রিটায়ারমেন্ট রি-এমপ্লয়মেন্ট প্রকল্প’। তবে এক্ষেত্রে প্রধান শর্ত হল যোগ্য এবং শারীরিকভাবে সক্ষম থাকতে হবে। তবে গোটা প্রকল্পটিই বাধ্যতামূলক নয়, শুধুমাত্র ইচ্ছুকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে জানা গিয়েছে।
Be the first to comment