২১ জুলাইয়ের শহীদ স্মরণের আগে তৃণমূলের কর্মীসভায় ফের স্বমহিমায় মদন মিত্র। কামারহাটিতে একেবারে পুরনো ফর্মেই দেখা গেল হেভিওয়েট এই তৃণমূল নেতাকে। একাধারে যেমন মোদীকে ‘গোধরা হত্যাকান্ডের নায়ক’ বলে কটাক্ষ করলেন তেমনই অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লি জয়ের আশ্বাসও দিয়ে গেলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। তবে, মদনের এদিনের বক্তব্যে মিশেছিল তীব্র যন্ত্রণাও।
২০১৬ সালের ফলের পুনরাবৃত্তি যেন আর না হয়, সেজন্য সকল কর্মীকে তৎপর হওয়ার অনুরোধ করলেন তিনি। মদন মিত্রকে এও বলতে শোনা গেল, “আমার যা রেজাল্ট হয়েছে (কামারহাটি বিধানসভায় হার) এবার যদি তার পুনরাবৃত্তি হয়, বা তার ধারের কাছেও যায়, তাহলে কলসি বেঁধে ডুবে মরতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলসি আর দড়ি দেবে। তিনি বলবেন বাঁচার কোনও দরকার নেই। ডুবে মরা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না”।
কামারহাটি বিধানসভায় যেভাবে তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক উঠেছে, তা সামাল দিতে ভোকাল টনিকও দিয়েছেন এই নেতা। ‘তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মী’ মদন মিত্র বলেন, শেষ রক্ত বিন্দু পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই থাকবেন তিনি। বহু লড়াইয়ে পোড় খাওয়া মদন বলেন, ২টি আসন জিতে বিজেপি যদি আজ দিল্লি দখল করতে পারে, তাহলে তৃণমূলের স্বপ্ন দেখাতে আপত্তি কোথায়? এরপরই ভরসা যোগাতে তিনি বলেন, “মনে রাখবেন এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাত্র ১টি লোকসভা আসন জিতে ৩৪ বছরের সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন এবং ক্ষমতায় এসেছেন”। প্রত্যয়ী মদন মিত্র আরও বলেন, “আগামী দিনে মমতাই দেশের ভবিষ্যত্”।
এদিন কামারহাটির তৃণমূল কর্মীদের কাছে এককাট্টা হয়ে লড়াই করার অনুরোধ করেছেন মদন। দলে বিবাদ হলে তা না বাড়িয়ে মিটিয়ে নিয়ে একত্রে কাজ করার কথাই বলেছেন প্রাক্তন বিধায়ক।
Be the first to comment