আমি চাই ভারতে একটাই আদর্শবান দল থাকুক যার নাম তৃণমূল কংগ্রেসঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Spread the love

আজকের এত বৃষ্টি যখন আপনাদের একজনকেও সরাতে পারেনি তখন জেনে রাখবেন ২০২৪ এ দিল্লি থেকে বিজেপিকে সরিয়ে দেবে। একুশে জুলাই বৃষ্টি হয়। বিজেপি খুব হাসছিল। আর সিপিএম খুব কাঁদছিল। ভেবেছিল মিটিংটাই বুঝি বাতিল হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে ইঙ্গিতবাহী ভাষণ দিয়েই বক্তব্য শুরু করলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তুলে ধরলেন রাজ্যের উন্নয়নের কথা ৷ তৃণমূল কংগ্রেস থাকলে ফ্রি তে রেশন পাবেন, লক্ষীর ভান্ডার পাবেন, স্বাস্থ্যসাথী পাবেন, রূপশ্রী পাবেন।

মমতা বলেন, কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে আয়ের দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা সবচেয়ে ভালো জায়গায় আছে। আমার চ্যালেঞ্জ একদিকে কৃষি আর অন্যদিকে শিল্প। জোর করে কারও ঘর ভাঙব না, জোর করে কারও জমি নেব না জঙ্গলমহল সুন্দরী প্রকল্পে ৭২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হচ্ছে। দেউচাতে সবচেয়ে ভালো কয়লা পাওয়া গিয়েছে। দেউচা হয়ে গেলে আগামী ১০০ বছর বিদ্যুতের অভাব হবে না। বরং আমরা বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারব। শিক্ষা ক্ষেত্রে ১৭ হাজার চাকরি রেডি আছে। কোর্টে কেস চলছে তাই করতে পারছি না। বিজেপি শুধু ভুল ধরছে। বলছে বাংলার লোককে চাকরি দেওয়া যাবে না। আলবৎ দেব। তোমার ক্ষমতা থাকলে রুখে দেখাও। কাজ করতে গেলে ভুল হয়। যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল করে তাহলে তার ফল সে পাবে।

পাশাপাশি এদিন মমতা কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না সিপিএমকেও ৷ বললেন, সিপিএমের আমলে কিভাবে চাকরি হয়েছিল। ওদের একটা কাগজ আছে। সেই কাগজে যারা চাকরি করেন তাদের স্ত্রীরা কীভাবে স্কুলে চাকরি পেয়েছে? বিকাশরঞ্জন বাবু, আপনার আমলে কাদের কাদের বার্থ সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন? সেই ফাইলগুলো কি একবার দেখাবো?

তবে এদিন উদাত্ত কণ্ঠে বক্তব্য রাখছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কিন্তু এমনটা যে হবে আশা করেননি কেউই। দলনেত্রী স্বয়ং চেয়ে বসলেন মুড়ি। এই কেউ মুড়ি এনেছ? একটু দাও তো ৷ গ্রাম-বাংলার এত মানুষ এসেছেন, মুড়ি তো আনবেনই। সবাই মুখ চাওয়া-চাওয়ি করছে তখন৷ মুড়ি পাওয়া গেলো। পৌঁছে গেল দলনেত্রীর কাছে৷ না ! খাওয়ার জন্য তিনি মুড়ি চাননি বরং এই মুড়ি দিয়েই একুশের মঞ্চ থেকে আঙুল তুললেন নিদারুণ এক সত্যের দিকে। মুড়ি দিয়েই প্রতিবাদ জানালেন মুড়ির উপর বসানো জিএসটির ৷ এমন ইঙ্গিতবাহী প্রতিবাদ আগে কেউ দেখেন নি ৷

মধ্যবিত্তদের কপালে ভাঁজ পড়েছে আবারও। বেশ কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যে জিএসটি চালু হয়েছে। চাল, ডাল, মুড়িতে আগে কোনও জিএসটি ছিল না। কিন্তু জিএসটি কাউন্সিলের নয়া নির্দেশিকায়  মুড়িতে পর্যন্ত বসছে জিএসটি। তারই প্রতিবাদ জানালেন দলনেত্রী৷ মুড়িতে জিএসটি, মিষ্টিতে জিএসটি, দইতে জিএসটি, লস্যিতে জিএসটি, নকুলদানাতে জিএসটি, বাতাসাতে জিএসটি, বিজেপি মুড়ি খায় না? লোকে কী খাবে? খাব কী আমরা? মানুষ খাবে কী? আমাদের মুড়ি ফিরিয়ে দাও, নইলে বিজেপি বিদায় নাও…”  দলনেত্রীর ভাষণে কেঁপে উঠল তিলোত্তমা!

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*