করোনায় লকডাউন পরিস্থিতিতে বঙ্গবাসীর দিনযাপন সচল রাখতে আরও একাধিক পদক্ষেপ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হোম ডেলিভারির সুবিধার্থে, আংশিক পণ্য পরিবহণে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মমতা। হোম ডেলিভারির জন্য সরকারি কিছু ট্যাক্সিকে নামানো হবে রাস্তায়। একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে ২-৩ জনকে তোলা হবে ট্যাক্সিতে। ফোন মারফত যোগাযোগ করা হবে। এমন ভাবনার কথাই বলেছেন মমতা। পাশাপাশি চা শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের জন্যও নয়া ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
জরুরি ভিত্তিতে পণ্য সরবরাহের স্বার্থে আংশিক পরিবহণে ছাড়। হোম ডেলিভারির জন্য সরকারি কিছু ট্যাক্সিকে নামানো হবে রাস্তায়।
একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে ২-৩ জনকে তোলা হবে ট্যাক্সিতে। ফোন মারফত যোগাযোগ করা হবে।
চা বাগানের ১৫ শতাংশ শ্রমিককে কাজের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। স্যানিটাইজেশন করে কাজ করতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স পুনর্নর্বীকরণের মেয়াদ বাড়ানো হল ৩০ জুন পর্যন্ত।
মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্প কাপড়ের মাস্ক বানাক।
শিল্প সংস্থাগুলোকে এক একটি বাজারের দায়িত্ব দেওয়ার আবেদন।
কারখানায় স্যানিটাইজেশন আবশ্যক।
এদিন নবান্নে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”করোনা বাড়ছে, লকডাউন ভাঙা যাবে না। উপায় নেই, তাই বাধ্য় হয়ে মেনে নিচ্ছি। আগামী ২-৩ সপ্তাহ গুরুত্বপূর্ণ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যে করোনা আক্রান্ত মোট ৮৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা মুক্ত হয়েছেন ৩ জন। এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি ৮০ জন। হাওড়ার সুপার, স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫”।
পাশাপাশি এদিন মমতা টুইটারে বলেন, ২ লাখের বেশি শ্রমিক এবং দেশের ১৬টি রাজ্যের সাধারণ মানুষ পশ্চিমবঙ্গের ৭১১টি ক্যাম্পাসে হোম কোয়ারেনটাইনে রয়েছেন। রাজ্য সরকার তাদের যথাযথ সাহায্য করছে।
Be the first to comment