লাদাখ পরিস্থিতি সামাল দিতে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেই বৈঠক প্রসঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘কঠিন সময়ে দেশের পাশে আছি।’ আজ বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে একথা বলেন তিনি। বলেন, ‘আমরা দেশের জন্য গর্বিত। এই পরিস্থিতিতে আমরা একসঙ্গে লড়াই করব। এই কঠিন সময়ে দেশের সঙ্গে আছি।’ শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকেও তৃণমূল থাকবে বলে ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রীর কথায়।
লাদাখে মুখোমুখি ভারত এবং চিনের সেনাবাহিনী। গত সোমবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। দু’পক্ষের মধ্যে হওয়া হাতাহাতিতে ভারতীয় সেনার ২০ জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন। সীমান্তের ওপারে চিনেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। বহু চিন সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এই পরিস্থিতিতে সমস্ত বিরোধী দলই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দাবি করেছে। এই অবস্থায় আগামী ১৯ তারিখ সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
অন্যদিকে, গালওয়ান ভ্যালিতে চিনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বাংলার ২ জওয়ানও রয়েছেন। বাংলার শদীদ ২ জওয়ানের একজন বীরভূম জেলার মহম্মদবাজার থানার ভূতুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজেশ ওঁরাও। আরেকজন আলিপুরদুয়ার জেলার টটপাড়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিন্দিপাড়ার বিপুল রায়। বাংলার দুই জওয়ানদের শহিদ হওয়ার খবর আসার পরেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে শোকের ছায়া।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই ২ জওয়ানের পরিবারের জন্য ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ও ১ জন সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এদিন টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, গলওয়ান ভ্যালিতে ঘটনায় যারা শহিদ হয়েছেন তাঁদের প্রতি আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি শহিদদের মধ্যে বাংলারও দুই সন্তানও রয়েছে। আরেকটি টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, এই আত্মত্যাগের কোনও ক্ষতিপূরণ হয় না। এই কঠিন সময়ে বাংলার দুই সন্তানের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চাই। সেই কারণে প্রতি পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে।
Be the first to comment