ভারত-চিন সীমান্তে চলছে সংঘাত। ইতিমধ্যেই একাধিক ফাইটার জেট মোতায়েন করা হয়েছে সীমান্তে। দিল্লিতে দফায় দফায় চলছে বৈঠক। শুক্রবার ছিল একটি সর্বদলীয় বৈঠক। চিনের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, তা নিয়েই এই বৈঠক ছিল। একাধিক দল ছিল সেই বৈঠক। ছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন তিনি চিনের এই উদ্ধত ব্যবহারের তীব্র নিন্দা করেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চিনে কোনও গণতন্ত্র নেই। ওদের একনায়কতন্ত্র আছে। ওরা যা খুশি তাই করতে পারে। কিন্তু আমাদের একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। চিন হেরে যাবে, ভারত জিতবে। আমরা একসঙ্গে কাজ করব, একসঙ্গে ভাবব, আমরা সরকারের পাশে আছি।’
একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, যাতে টেলিকম, অ্যাভিয়েশন বা রেলের চিনকে ঢুকতে না দেওয়া হয়। তাঁর কথায়, ‘হয়ত আমরা একটু অসুবিধেয় পড়ব, কিন্তু চিনকে ঢুকতে দেব না।’ গালওয়ান উপত্যকায় চিনা বাহিনীর আক্রমণে নিহত হয়েছেন ২০ ভারতীয় সেনাকর্মী। এই পরিস্থিতিতে ইন্দো-চিন সীমান্ত ঘিরে উত্তেজনা কয়েকগুণ বেড়েছে। উত্তেজনা প্রশমণে দই দেশের সেনা ও কৃটনীতিকস্তরে আলোচনা চলছে। ভারত বেজিংকে স্পষ্ট করে জানিয়েছে, সীমান্ত নিয়ে বিরোধ আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান হবে। ভারতের তরফে সব পদক্ষেপ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার এপারেই করা হয়ে থাকে। আশা করব চিন ও তাদের যাবতীয় কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারেই করবে।
Be the first to comment