প্রয়াত বিধায়ক মৃগেন্দ্রনাথ মাইতি, বাড়িতে গেলেন মমতা

Spread the love

প্রয়াত মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়ক মৃগেন্দ্রনাথ মাইতি ৷ আজ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি ৷ মেদিনীপুরে সভা শেষ করে প্রয়াত বিধায়কের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ পরিবারকে সমবেদনা জানান তিনি ৷ দেন পাশে থাকার আশ্বাসও ৷

মেদিনীপুর বিধানসভার দু’বারের বিধায়ক মৃগেন্দ্রনাথ মাইতি ৷ গুরুতর অসুস্থ হয়ে এস এস কে এম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে দিন তিনেক আগে ভরতি হয়েছিলেন । কিন্তু প্রবীণ এই বিধায়কের অবস্থা ক্রমেই সংকটজনক হয়ে ওঠে । রবিবার বিকাল থেকে তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হয় বলে জানা যায় । এরপর, রাত ১০ টা নাগাদ হঠাৎ করে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর চাউর হয়ে যায় ৷ শহরের বিভিন্ন পার্টি অফিসে, দলীয় পতাকাও অর্ধনমিত করে রাখার কাজ শুরু হয় ।

যদিও মৃত্যুর খবর চাউর হওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে জানা যায়, তিনি ‘ভেন্টিলেশনে’ আছেন ৷ তাঁর অবস্থা সংকটজনক হলেও, তিনি প্রয়াত হননি ৷

আজ মুখ্যমন্ত্রীর সভা চলাকালীন জানান, “মৃগেনদা গুরুতর অসুস্থ, আমার মন তাঁর কাছেই পড়ে আছে ৷” এরপরই সভা শেষে, তিনি সরাসরি চলে আসেন মেদিনীপুর শহরের সিপাইবাজারে মৃগেন্দ্রনাথ মাইতির বাসভবনে। সেখানে তিনি জানান, ‘‘প্রয়াত হয়েছেন প্রবীণ এই বিধায়ক ।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রয়াত বিধায়কের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে শোক জ্ঞাপন করেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন ৷ তিনি বলেন, “দীর্ঘদিনের সৈনিককে হারিয়ে আমি মর্মাহত ৷ তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। আমরা তাঁর পরিবারের পাশে আছি ।”

জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন মৃগেনবাবু । তাঁর হাই ব্লাড সুগার এবং ব্লাড প্রেসার ছিল । ফলে, বারবার অসুস্থ হয়েছেন তিনি। কলকাতা থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেও এসেছিলেন । কিন্তু, গত কয়েকদিন ধরে শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হয়। প্রথমে, মেদিনীপুর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে । পরে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভরতি করা হয় । সেখানেই, ৭৭ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই বর্ষীয়ান বিধায়ক ৷

বিধায়কের পরিজনরা বলেন, ‘‘দিদিমণি খবর পেয়েই দৌড়ে আসেন। গত তিন দিন ধরে অসুস্থ হয়ে ভরতি ছিলেন মৃগেন মাইতি । দিদিমণি খবর পেয়ে আসেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে গেছেন।’’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*