মধ্যপ্রদেশের তখত কার হাতে? সমীক্ষায় স্পষ্ট আভাস মিলল না। তবে স্পষ্ট হয়, এবার লড়াইটা সত্যিই কঠিন। দুটি বুথ ফেরত সমীক্ষা এগিয়ে রেখেছে বিজেপিকে। চারটি সমীক্ষা জানিয়েছে, ক্ষমতা ছিনিয়ে নেবে কংগ্রেস। অর্থাৎ হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস। নাড়িয়ে দিয়েছে বললে বোধহয় কিছুই বলা হয় না। পাঁচ রাজ্যের বুথ ফেরত সমীক্ষা স্রেফ হিলিয়ে দিয়েছে। ভোট মেটার পরদিনই তড়িঘড়ি বৈঠকে বসল যুযুধান দুই দলের শীর্ষনেতৃত্ব। অমিত শাহ ও সোনিয়া গান্ধি। পরিস্থিতি আঁচ করার চেষ্টা করলেন দুই শীর্ষনেতাই। দুই শিবিরের ছবিটাই বলে দিচ্ছে, জাতীয় রাজনীতিতে কতটা গুরুত্ব পাচ্ছে সদ্য শেষ হওয়া পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন। আর বিজেপি আর কংগ্রেস শিবিরে সংশয় বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল। সব সমীক্ষার ফল মিলিয়েও সিদ্ধান্তে আসছে পারছে না কোনও পক্ষই। তাই ভোটারদের মন বুঝতে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের ডেকে পাঠানো হয়েছে।
বিজেপি-বিরোধী জোট অনেক দিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে৷ কিন্তু এই মহাজোটকে এখনও আলোচনার টেবিলে একসঙ্গে বসতে দেখা যায়নি৷ অবশেষে এল সেই দিন৷ আজ অর্থাত্ সোমবার রাজধানীতে প্রথমবার বৈঠক করতে চলেছে বিরোধী জোট ৷ বলা বাহুল্য, এই জোটের মধ্যমণি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি সরকারকে উত্খাতের রোডম্যাপ তৈরি করতেই এক টেবিলে সব বিরোধীপক্ষ৷
মমতা তো থাকছেনই, তা ছাড়া বৈঠকে থাকছেন, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি, ডিএমকে নেতা এম কে স্তালিন, আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল, এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার, টিডিপি সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নাইডু, ফারুক আবদুল্লা-সহ তাবড় বিরোধী নেতৃত্ব৷
আগামিকাল অর্থাত্ মঙ্গলবারই ৫ রাজ্যের ভোটের ফল প্রকাশ৷ ওই দিন দিল্লিতেই থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বুধবার তিনি মুম্বই রওনা হবেন৷ তবে এ দিনের বিরোধী-জোট বৈঠকে সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব ও বহুজন সমাজ পার্টি সুপ্রিমো মায়াবতী উপস্থিত থাকবেন কিনা, এখনও জানা যায়নি৷
Be the first to comment