ঝোড়ো প্রচার আগেই শুরু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকদিন আগেই এখানে প্রচার করে গিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁরা যৌথভাবে একই মঞ্চে প্রচার করবেন। রবিবার তা প্রত্যক্ষ করবেন ভবানীপুরের ভোটাররা। তাই এই হেভিওয়েট দু’জনের প্রচার সভা ঘিরে এখন প্রস্তুতি তুঙ্গে ভবানীপুরের পদ্মপুকুরে।
প্রতিটি ওয়ার্ডেই গিয়ে প্রচার করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যান্য নেতা–মন্ত্রীরাও প্রচার–জনসংযোগ করে চলেছেন। এবার হঠাৎই ঠিক হয়েছে, ভবানীপুরে যৌথ প্রচার করবেন তাঁরা। দলীয়স্তরে ঠিক হয়, অভিষেকের সঙ্গে ওই সভায় থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও। সেই সভায় যোগ দিয়ে তবেই হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের মোড়ে সভা করবেন। সুতরাং এখন টানটান উত্তেজনায় ফুটছে ভবানীপুর।
সূত্রের খবর, ভবানীপুরের বেশ কয়েকজন ভোটার এই আর্জি নাকি জানিয়ে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। সেই কথা পৌঁছে দেওয়া হয় নেত্রীর কানে। তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন অভিষেক যে প্রচারে থাকবেন সেখানেই তিনি থাকবেন। ভোটারদের ইচ্ছাই তাঁর ইচ্ছা। তারপর নিজের পাড়ার মোড় অর্থাৎ হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের মোড়ে সভা করেই প্রচার শেষ করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’–এর প্রভাবে রবিবার বিকেলে কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে হালকা বৃষ্টি শুরু হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তাই এই প্রচার নিয়ে ভাবাচ্ছে ঘাসফুল শিবিরকে।
উল্লেখ্য, ভবানীপুরে তিনি মন্দির–মসজিদ–গুরুদ্বারে গিয়েছিলেন। বেশ কয়েকটি ঘরোয়া সভা করেছেন। কর্মীসভাও করেছেন। এবার নেমে পড়েছেন ঝোড়ো প্রচারে। তার মধ্যে এই যৌথ প্রচার এককথায় অভিনব। মঙ্গলবারই প্রচারের শেষ দিন। কিন্তু ‘গুলাব’–এর প্রভাব ভাবিয়ে তুলেছে। যদি ভারী বৃষ্টি হয় তাহলে এই সবা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
Be the first to comment