১০৮ পুরসভায় নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে তৃণমূল। ফলাফল প্রকাশ হলেও এখনও পুরসভাগুলির চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করা হয়নি। এরই মধ্যে সোমবার বৈঠকে বসলেন মমতা ও অভিষেক। মূলত পুরসভাগুলির চেয়ারম্যান বাছাই নিয়েই আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি, আরও কিছু সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। গত কয়েক মাসে বেশ কিছু ঘটনায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূরত্ব তৈরি হওয়ার ইঙ্গিত পেয়েছিলেন কেউ কেউ। প্রকাশ্যে ঘাসফুল শিবির মুখ না খুললেও, অভিষেক ও প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছিল, তা বেশ স্পষ্ট। পুরভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সময় থেকেই এই জটিলতা তৈরি হয়। তারপর এই প্রথমবার একান্ত বৈঠকে বসতে দেখা গেল দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
সোমবার বিকেলে কালীঘাটে আধ ঘণ্টার বৈঠক হয় মমতা ও অভিষেকের। ঘাসফুল শিবিরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, পুরভোটে জয়ের পরও দলের অন্দরে কোথাও কোথাও জটিলতা তৈরি হয়েছে। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, একাধিক জেলায় পুরসভাগুলির চেয়ারম্যানদের নামের তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, কোথাও কোথাও জটিলতা রয়েছে। আর সে সব নিয়েই মমতা ও অভিষেকের আলোচনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
যদিও সম্প্রতি নজরুল মঞ্চে দলের সাংগঠনিক বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর দুজনকেই দেখা গিয়েছে, তবুও দীর্ঘদিন পর মমতা ও অভিষেকের এই বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
১২ ফেব্রুয়ারি দলের জাতীয় কর্মসমিতি গঠন করেছিলেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, আপাতত তৃণমূলের সমস্ত সর্বভারতীয় পদ বিলোপ করা হল। নতুনভাবে পদ ঘোষণা করার কথা বলা হয়। এরপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কোন পদ পাবেন, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়। পরে অবশ্য দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়া হয় অভিষেককে।
Be the first to comment