কেন্দ্র উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে এজেন্সিকে কাজে লাগাচ্ছে’ এই অভিযোগ তৃণমূলের নতুন নয়। জয়নগরের প্রশাসনিক সভা থেকে মঙ্গলবারও ইডি-সিবিআই-এর বিরুদ্ধে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে আধিকারিকদের নাম না করে ‘ইঁদুর-চামচিকির’ সঙ্গে তুলনা করলেন তিনি। বললেন, “সোনাদানা ঘরে রাখবেন কী, ওই সব ইঁদুর, চামচিকেরা যেভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আপনার অর্জিত পয়সা লুঠ করে নিয়ে যাবে। তারপর সিজার লিস্টও পাবেন না।
এ দিনের সভা থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে একের পর এক ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। আর এইসবের পিছনে বিজেপি-র হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন মমতা। তাঁর দাবি, বিজেপি ভাবছে ভোটের আগে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের গ্রেফতার করলে মাঠ পরিষ্কার হয়ে যাবে। মমতা বলেছেন, “আসলে তৃণমূলের নামে ওরা কাঁপে। তাই তৃণমূলের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাজিয়ে নাটক করে তৃণমূলের নেতা নেত্রীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। ভাবছে ভোটের আগে সবাইকে গ্রেফতার করলে এলাকা খালি হবে। ফাঁকা মাঠে বিজেপি ডুগডুগি বাজাবে। অত সোজা নয়। বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জমি ছাড়ব না।”
একই সঙ্গে বামেদেরও এক হাত নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। অভিযোগ করেছেন, এ রাজ্যে চিটফান্ড সর্ব বামেরাই নিয়ে এসেছিল। বলেছেন, “২০১২ সালে আমরাই প্রথম গ্রেফতার করেছিলাম সারদা-র মালিককে। ২০০ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছিলাম।” এরপরই রামপুরহাটের বগটুই-এর ঘটনা তুলে ধরেন তিনি। এমনকী মুখ্যসচিবের কাছে জানতে চান, বগটুইতে যে জিনিসপত্র নিয়েছিল সিবিআই সেগুলি কি ফেরত দিয়েছে কি না। মমতা দাবি করেছেন, কেন্দ্র থেকে ৭৬টি দল এসেছে রাজ্যে। সবটা দেখে যাওয়ার পরও টাকা দিচ্ছে না তারা। বলেছেন, “আমাদের রাজ্যের টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে অথচ ঘর তৈরির টাকা দিচ্ছে না।”
Be the first to comment