অবিলম্বে রাজধানীতে শান্তি’ ফেরানের জন্য সচেষ্ট হতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অনুরোধ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভুবনেশ্বরে আন্তঃরাজ্য পরিষদের পূর্বাঞ্চলের বৈঠকে যোগ দেওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠকে এমনই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফে কিছু জানানো। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে যোগ দিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভুবনেশ্বরে পৌঁছন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং ওডিশার নবীন পট্টনায়েক উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পাশাপাশি বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
ভুবনেশ্বরের বৈঠকে দেশের সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি, বিশেষত দিল্লির অশান্তি বিষয়ে আলোচনা হয় কিনা, সেদিকে নজর কৌতূহল ছিল রাজনৈতিক শিবিরের। প্রসঙ্গত, দিল্লির হিংসার জন্য বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করে এই বৈঠক বাতিল করতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে আর্জি জানিয়েছিলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী।
বাতিল না হলেও এই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলেন, তা নিয়ে জল্পনা ছিলই। তবে সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, ‘আগাম এজেন্ডায় ছিল না, এমন কিছু নিয়েই আলোচনা হয়নি।’ আরও স্পষ্ট করে বলে দেন, ‘CAA, NRC, NPR নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।’ এছাড়াও রাজ্যের দাবি-দাওয়া নিয়েও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে, বৈঠক শেষে ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের বাসভবনে মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের জানান, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে যোগ দিয়েছিলাম। আমি শুধু রায়তা খেয়েছি।’ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী অমিত মিত্র ও অরূপ বিশ্বাস।
ওডিশা গিয়ে প্রথমে পুরীর মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই দিল্লি ইস্যুতে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছিলেন, ‘যা ঘটছে, তাতে আমার মন কাঁদছে। সকলের মঙ্গলের জন্য পুজো দিয়েছি। দেশের মানুষের শান্তির জন্য প্রার্থনা করেছি।’ এছাড়াও দিল্লির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ফেসবুকে নিজের লেখা একটি কবিতাও পোস্ট করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ভুবনেশ্বরের বৈঠকের পর রবিবার বিজেপির কর্মসূচিতে যোগ দিতে কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর শহিদ মিনারের জনসভা থেকে শাহ কী বলবেন, তা নিয়ে কৌতূহল তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে।
Be the first to comment