গীতাঞ্জলি পার্কে তপসিলি জাতি উপজাতি সম্মেলন অনু্ষ্ঠানের মঞ্চে সবেমাত্র উঠেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তৃতা শুরু তিন মিনিটের মধ্যেই মেজাজ হারালেন তিনি। মাইক নামিয়ে রাখলেন হাত থেকে। স্টেজ থেকে পিছিয়ে দাঁড়ালেন। তাঁকে দেখে তখন মঞ্চে উপস্থিত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য নেতা মন্ত্রীরাও উঠে দাঁড়িয়েছেন। সভায় দাবি দাওয়া পেশ করা নিয়ে আরও একবার মেজাজ হারালেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মাইক হাতে নিয়ে সবে তখন ‘জয় বাংলা, জয় জোহার, জয় কিষাণ…’ বলেছিলেন। আচমকাই ছন্দপতন। ‘কী করছে ওরা?’ চেঁচিয়ে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। সভাস্থলের পিছনে এক মহিলা বাঁশের খুঁটির ওপর দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে কিছু বলার চেষ্টা করছিলেন। কার্যত মুথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছিলেন। তা দেখেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ওরা কারা? আমার সভায় বহিরাগতদের ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইচ্ছা করে করা হচ্ছে এমনটা। সভায় গণ্ডগোল পাকানোর জন্যই এসব করা হচ্ছে।” এরপরই পুলিস কর্মীদের উদ্দেশে বলেন. নিরাপত্তারক্ষীরা কী করছেন? কীভাবে এক মহিলা বাঁশের ওপর উঠে পড়তে পারেন?
এরপরই মাইক ছেড়ে কয়েক পা পিছনের দিকে চলে যান তিনি। দৃশ্যত বোঝা যাচ্ছিল, মুখ্যমন্ত্রী কতটা বিরক্ত হয়েছেন। তাঁকে দেখে চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে পড়েন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
তবে কিছুক্ষণের ব্যবধানের মুখ্যমন্ত্রী ফের স্বমহিমায় আসেন। মাইক হাতে নিয়ে বলেন, আমার মাথা আজ একটু গরম রয়েছে। আপনারা মাথা ঠান্ডা রাখুন। সব কিছুই করে দেওয়ার চেষ্টা করছি। আর কত করব বলুন। এরপর পূর্ণ বক্তৃতা শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এদিন বক্তব্য শেষ করার পর মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে বলেন যারা আমাকে কিছু বলতে চাইছিলেন তাঁদের আমার কাছে পাঠিয়ে দিন। আমি তাঁদের সমস্যার কথা শুনবো।
Be the first to comment