৪ ও ৫ তারিখ ওষুধের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে কর্মসূচি ঘোষণা মমতার

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় ৭৪৮টা ওষুধের দাম বাড়িয়েছে কেন্দ্র সরকার। নবান্ন থেকে বিজেপিকে নিশানা মমতার। ওষুধের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে আগমী ৪ ও ৫ এপ্রিল রাজ্যের সমস্ত ব্লকে ব্লকে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কর্মসূচির ডাক দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
ওষুধের দামবৃদ্ধি নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পয়লা এপ্রিল থেকে ৭৪৮টি ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে। এইসব ওধুধ গরিব, সাধারণ মানুষরা কেনেন। তাঁদের ক্ষমতা নেই বিদেশে গিয়ে কোটি কোটি টাকা দিয়ে চিকিৎসা করানোর। এগুলির দাম বাড়িয়ে দেওয়া হল। আমি স্তম্ভিত।’ সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে মমতার প্রশ্ন, তাঁরা আছে কীসের জন্য? ওষুধের দাম বাড়িয়ে আদতে সাধারণ গরিব মানুষের ক্ষতি করা হচ্ছে।
ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আগামী ৪ ও ৫ এপ্রিল অর্থা‌ৎ শুক্র ও শনিবার বাংলার প্রতি ব্লকে, ওয়ার্ডে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেলা ৪টা থেকে ৫টা এক ঘণ্টা এই কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ‘ওষুধের দাম বাড়াচ্ছ কেন?’ এই প্রশ্ন তুলে মিটিং-মিছিল হবে বলে জানান মমতা। সাধারণ মানুষকেও এই প্রতিবাদে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মমতার কথায়, ‘আমি এই দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ করছি। বর্ধিত দাম যাতে দ্রুত প্রত্যাহার করা হয়, সেই আবেদন জানাচ্ছি।’ মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, কেন স্বাস্থ্যবিমায় জিএসটি বসানো হবে, কেন বারবার এভাবে ওষুধের দাম বাড়ানো হবে? কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, তাহলে এটা বলাই যায়, নির্দিষ্ট এক শ্রেণির জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁরা। কারণ গরিব মানুষ এত দাম দিয়ে ওষুধ কিনতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি জানিয়েছে, ডায়াবেটিস, হার্টের ওষুধ ছাড়াও ব্লাড থিনার, ব্লাড প্রেশার থেকে শুরু করে জ্বর, বমি, এইডস-এর মতো ওষুধের দামও বাড়ানো হয়েছে। সব মিলিয়ে বাড়ানো হয়েছে ৭৪৮টি ওষুধের দাম। ওষুধের পাশাপাশি দাম বাড়ছে স্টেন্ট-অর্থোপেডিক চিকিৎসা সরঞ্জামেরও। ১.৭৪ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে বিভিন্ন ওষুধের দাম। এই দামবৃদ্ধি নিয়েই এদিন কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*