এবার মমতা-ওয়াইসি মন্তব্য সংঘাত। কোচবিহারের জনসভায় অল ইন্ডিয়া মজলিশে ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসিকে ‘চরমপন্থী সংখ্যালঘু’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই মন্তব্যের পাল্টা টুইট করে আক্রমণ শানালেন এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম সম্প্রদায় বঞ্চনার শিকার বলেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে টুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন ওয়াইসি।
তিনি লেখেন, এটা কোনও ধর্মীয় চরমপন্থার বিষয় নয়। পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু মুসলিমরা সব থেকে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সোমবার কোচবিহারের একটি কর্মীসভায় ওয়াইসিকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমি বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করছি যে সংখ্যালঘুদের মধ্যে বেশ কিছু চরমপন্থী রয়েছেন। তাঁরা হায়দরাবাদে নিজেদের আস্তানা বানিয়েছেন। ওদের কথা একদম শুনবেন না। এই মন্তব্যের পরের দিনকেই মমতাকে বিঁধে টুইট করেন হায়দরাবাদ নিবাসী ওয়াইসি। রাজ্যে গত লোকসভা ভোটে বিজেপির ক্ষমতা বাড়ার প্রসঙ্গেও তৃণমূলনেত্রীকে কটাক্ষ করেন আসাদুদ্দিন। টুইটে তিনি লেখেন, দিদি যদি হায়দরাবাদের লোকেদের এত চিন্তিত হন। তবে আপনার শাসিত রাজ্যে বিজেপি কীভাবে ৪২টির ভিতরে ১৮টি লোকসভা আসন পেয়ে গেলো?
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংসদে পাস হয়ে গেলেই তাঁদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না। হিন্দুরা সুরক্ষিত হয়ে যাবে বলে দাবি করেছিল বিজেপি। সেই দাবিকেই নস্যাৎ করে দিয়ে মমতা বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল একটা গুজবমাত্র। এই বিলের ফলে কোনও লাভ হবে না। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে বড় বড় কথা বলছে। তিনি আরও বলেন, যেখানে বিলে নাম থাকলেও এনআরসি লিস্টে নাম নেই। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে নাম থাকার ফলে ছয় বছর ধরে নাগরিক হিসাবে নাম থাকবে না তাঁদের। এই এনআরসি অসমের ১৯ লক্ষ বাঙালি,গোর্খা, অ-বাঙালি প্রত্যেকের উপর প্রভাব ফেলেছে।
Be the first to comment