অসমে তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, এ দেশে কোনও গণতন্ত্র নেই, আছে কেবল জরুরি অবস্থা। “নো ডেমোক্রেসি, ওনলি সুপার এমার্জেন্সি ইজ় দেয়ার।”– বলেন মমতা।
কেন হেনস্থা করা হলো তাঁর প্রতিনিধি দলকে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন রাজনীতির নামে প্রতিহিংসা চলছে। সম্প্রতি দিল্লি ঘুরে এসেছেন তিনি, দেখা করে এসেছেন রাজনাথ সিংহের সঙ্গে। মমতার দাবি, “রাজনাথ সিংজি আমায় স্পষ্ট বললেন, কোনও মানুষের হেনস্থা হবে না। তা হলে কেন আজ আমাদের এমপি-দের হেনস্থা করা হল আমি জানতে চাই।”
তাঁর বিরুদ্ধে অসম পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের নিয়েও খুব একটা চিন্তিত নন বলে জানিয়েছেন তিনি। ওই প্রসঙ্গে তিনি জানান, রোজ রোজ অনেক এফআইআর করা হচ্ছে। আগেও হয়েছে। তাঁর স্পষ্ট কথা, “মানুষের জন্য কথা বলতে গিয়ে যদি লক্ষ এফআইআর হয়, তাতেও আমাদের ভয় নেই মানুষের কথা আমরা বলবই।” দলের মন্ত্রীর গ্রেফতার প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ওখানে যেমন দেখাবে এখানে তেমন পাবে ওরা।
বাংলায় কখনও এরকম ঘটলে কী হবে, এই প্রসঙ্গে মমতা সাংবাদিকদের বলেন, “আমারটা আমায় ছেড়ে দাও তোমরা। আমার যখন যা হবে বলে দেব। লুকিয়ে যাব না। অসম বাংলার থেকে খুব ছোট জায়গা। অসমে সম্ভবত ৬০টা সিট। ছোট্ট একটা মিষ্টি রাজ্য। বাংলাটা অনেক বড়। বাংলাটাকে সামলাতে দাও আমায়।”
তিনি আরও জানান, অসমের বাদ পড়া নাগরিকদের তালিকায় হিন্দু-মুসলিম-শিখ-খ্রিস্টান সকলে আছেন। বাঙালি-বিহারী-রাজস্থানীও আছেন। সব রকম মানুষের নাম বাদ পড়েছে। সীমান্তে পাহারা দেওয়া সেনারাও চিন্তিত তাঁদের পরিবার নিয়ে। মোট দু’কোটি কুড়ি লক্ষ ভোটার ওই রাজ্যে। তার মধ্যে ৪০ লক্ষ বাদ দিয়ে দিলে আর কতটুকু পড়ে থাকে!
১৪৪ ধারা জারি করা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিজেপি-র বক্তব্য মেনে নিয়ে যদি ধরা যায় ওই রাজ্যে এতই শান্তি আছে, তা হলে সব জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে কেন? আর কেনই বা তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে বিমানবন্দরের বাইরে যেতে না দিয়ে মারধর করা হল! গ্রেফতার করা হল!
প্রতিনিধি দলকে গ্রেফতার করা হলেও মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য, মানুষের পাশে থাকার লড়াই থেকে কোনও ভাবেই পিছু হটবে না তৃণমূল।
Be the first to comment