‘আমাদের হারাতে অনেক টাকা খরচ করেছে। সেই টাকা ভ্যাকসিনে খরচ করলে ভালো হত। সকলকে টিকা দেওয়া যেত। সার্বিক টিকাকরণ হত।’ বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এবার নাম না করে বিজেপি নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘নির্বাচন কমিশনের মদতে কোথাও কোথাও রিগিং হয়েছে। কমিশন না থাকলে ওরা ৩০টা আসনও পেত না’।
ভোটাভুটির আর দরকার পড়ল না। বিধানসভায় ধ্বনি ভোটেই ফের স্পিকার নির্বাচিত হলেন বারুইপুর পশ্চিমে বিধায়ক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অনুরোধে নবগঠিত বিধানসভায় প্রথমবার ভাষণ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘মানুষের ভোটে জিতে আমার ফের ক্ষমতায় এসেছি। আমাদের বিরুদ্ধে অনেক চক্রান্ত হয়েছে। বাংলার মা-বোনেরা আমাদের বিপুল ভোটে জয়ী করেছেন। বাংলার মানুষ প্রমাণ করেছেন, বাংলা মাথা নত করে না’।
ভোটের পর বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত হিংসার ঘটনা ঘটেছে। বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা হচ্ছে, পার্টি অফিসেও ভাঙচুর চলছে বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদে যখন বিধানসভায় স্পিকার নির্বাচন বয়কট করল বিজেপি, তখন চুপ করে বসে নেই কেন্দ্রীয় সরকারও। পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল ঘুরে গিয়েছে রাজ্যে।
এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলার মানুষের রায় মেনে নিতে পারছে না বিজেপি। শপথ নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়েছে। রাজ্য বিজেপির পরামর্শে পুলিস প্রশাসনের রদবদল করেছে’। তাঁর কথায়, ‘রাজ্য়জুড়ে ফেক নিউজ ছড়াচ্ছে বিজেপি। ওদের কোনও কোনও নেতা তো হিংসায় মদত দিচ্ছে। যেখানে জিতেছে, সেখানেই হিংসা হচ্ছে। পুলিস-প্রশাসনকে বলেছি, দ্রুত ব্যবস্থা নিতে’।
Be the first to comment