সিপিএম শুভেন্দুদের কোনও মামলা দেয়নিঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Spread the love

বঙ্গ ভোটের এপিসেন্টার এখন নন্দীগ্রাম। সেখানকার বিরুলিয়া বাজারে আঘাত পাওয়ার ১৮ দিন পর, রবিবারই নন্দীগ্রামে পা রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরপরই রীতিমতো বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। ফিরে গিয়েছেন ১৪ বছর আগের ঘটনায়। নন্দীগ্রাম গণহত্যার সেই কালো দিনের প্রসঙ্গে। স্পষ্টতই নন্দীগ্রামের গণহত্যার সময় সেখানে পুলিশ ঢোকানোর দায় দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী-শিশির অধিকারীর উপর!

রবিবারের পর সোমবারও তার অন্যথা হল না। হুইলচেয়ারে বসেই নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের ক্ষুদিরাম মোড় থেকে ঠাকুরচক পর্যন্ত রোড শো করে মমতা ফের বলেন, ‘নন্দীগ্রামে ভূমি আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সিপিএম, আমি ঠিক জানি না, আপনারা বলুন। বাকি আন্দোলকারীদের মামলাও আমরা স্থগিত করার চেষ্টা করছি। কিন্তু গদ্দার বাবুর বিরুদ্ধে কোনও মামলা করেনি। ও নিজেই সিপিএমকে ডেকে নিয়ে এসেছিল। আপনাদের মনে আছে, সে দিন সিপিএমের কর্মীরা পুলিশের পোশাক পরে গুলি চালিয়েছিল নন্দীগ্রামে।’

রবিবারও মমতা তুলে এনেছিলেন সেই ১৪ মার্চের ঘটনার কথা। বলেছিলেন, ‘এই বাপ-ব্যাটার পারমিশন ছাড়া সেদিন পুলিশ নন্দীগ্রামে ঢুকতে পারত না, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি।’ এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, ১৪ বছর আগের ঘটনা নিয়ে আগে কেন মুখ খোলেননি মমতা? নিজেই অবশ্য সেই যুক্তি দিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘ফেয়ার এনাফ, ভদ্রলোক বলে কিছু বলিনি। সহ্য করে গিয়েছি।’

মমতা অবশ্য এবারও সেই ‘নকল’ পুলিশ ঢোকানোর আশঙ্কা করছেন। তিনি এদিন বলেন, ‘আজকেও তাই করছে। পুলিশ সাজিয়ে গোলমাল পাকাবে। কেউ টাকা দিচ্ছে দেখলে খবর দিন, আমি পুরস্কার দেব। ভিনরাজ্যের পুলিশের উর্দি কিনছে। বিজেপি-র গুণ্ডারা মোটরবাইক নিয়ে গুণ্ডামি করছে। বাইরে থেকে গুণ্ডা নিয়ে আসছে। কাঁথিতে উত্তরপ্রদেশের ২০ গুণ্ডা ধরা পড়েছে।’

মমতার অভিযোগের জবাব অবশ্য আগেই উড়িয়ে দিয়েছেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শিশির অধিকারী। তিনি বলেন, ‘যারা সেদিন জড়িয়েছিল, উনি তাদেরই বড় পদ দিয়েছেন। উনি এখন হারার ভয়ে পাগলের প্রলাপ বকছেন।’ মমতার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনেও তিনি যাবেন বলে জানিয়েছেন শিশির বাবু।

তৃণমূল নেত্রী অবশ্য নিজের বক্তব্যে অনড় থেকেছেন। অধিকারী পরিবার যে আদৌ তৃণমূলের আদিলগ্ন থেকে সঙ্গী নয়, তা স্পষ্ট করতে তিনি বলেন, ‘কাঁথিতে তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অখিল গিরি, আর কেউ ভোটে দাঁড়ায়নি। ওঁরা (অধিকারী পরিবার) ছিল না তৃণমূলের জন্মের সময়ে। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে সব জিততে শুরু করল। কী না দেওয়া হয়েছে ওদের, অনেক দিয়েছি। একদিন কোথাও ঠাঁই হবে না। আমি গণতন্ত্রের মানুষ, গণতন্ত্রের হয়ে লড়াই করি।’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*