বৃহস্পতিবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীকে দেখতে দিল্লি গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে তিনি জানিয়ে গেলেন বাজপেয়ীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা।
বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, অটল বিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক শুধুমাত্রই রাজনৈতিক ছিল না। রাজনীতির বাইরেও বাজপেয়ী ছিলেন এক অসাধারণ মানুষ, দৃঢ় ব্যক্তিত্ব। ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর পারিবারিক সম্পর্ক ছিল বলেই জানান মমতা। বলেন, আমার মতোই চন্দ্রবাবু নাইডু, নীতীশ কুমার, নবীন পট্টনায়কের মতো আঞ্চলিক দলের নেতারা অটল বিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে কাজ করতে পেরেছেন বলে তাঁরা কৃতজ্ঞ।
মমতা জানান, গত মাসে দিল্লি সফরের সময়েও এইমসে গিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে দেখে এসেছিলেন। ফের শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়েছে বাজপেয়ীর। যে কোনও মুহূর্তে কিছু হয়ে যেতে পারে। তাই বাজপেয়ীর এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে পাশে থাকতে চান বলেই সব কাজ ফেলে দিয়ে তিনি দিল্লি যাচ্ছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার তাঁর ফেরার কথা।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপারে বলতে গিয়ে মমতা বলেন, অটল বিহারী বাজপেয়ী সবসময়ই আঞ্চলিক দলগুলোর খেয়াল রাখতেন। তাঁর কাজ করার ধরন ছিল আলাদা। তিনি এখনকার বিজেপি নেতাদের মতো নয় বলেই জানান মমতা। ১৯৯৯ সালে বাজপেয়ী যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিটা পদক্ষেপে তাঁর পাশে পিলারের মতো ছিল বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এমনকী রেলমন্ত্রী থাকাকালীন কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মায়ের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতেও গিয়েছিলেন বাজপেয়ী। তাঁর ব্যবহার, ব্যক্তিত্বের জন্য সবসময় তিনি সবার কাছে সম্মানীয় জায়গায় ছিলেন বলে জানান মমতা। তাই এই মুহূর্তে বাজপেয়ীর পাশে থাকাটা তাঁর কর্তব্য বলেই মনে করেন তিনি। তাই তিনি দিল্লি যাচ্ছেন।
Be the first to comment