আমফান তাণ্ডবের পর তিনদিন হয়ে গেলেও বিদ্যুৎহীন দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। হাঁসফাঁস দশা কলকাতাতেও। অতিষ্ট মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করেছেন। এমন অবস্থায় শনিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি মানুষের কষ্ট হচ্ছে। আমরাও সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। রাতের পর রাত জেগে কাজ করছি। একটু ধৈর্য ধরুন। তবে মনে রাখবেন, ১ কোটি আজ গৃহহীন। তাঁরাও কিন্তু সহ্য করছে। এত বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে ন্যূনতম সময় লাগে।’ দুর্যোগের এই সময়ে বিরোধীদের ‘ক্ষুদ্র রাজনীতি’ না করতে আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বরং তাঁর কথায়, ‘এই সময়ে পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য করুন।’
বিদ্যুৎ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কলকাতায় CESC একটি পৃথক বেসরকারি সংস্থা। তারা ৩০ বছর ধরে, বাম আমল থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত। কলকাতা ও বৃহত্তর কলকাতায় গোটা পরিকাঠামোই ওদের। যদিও এমন অবস্থায় আরপি-সঞ্জীব গোয়েঙ্কা গ্রুপে কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে তিনি ও মুখ্যসচিব কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, রাস্তায় গাছ সরানোর কাজে শুধু কলকাতায় ২০০-র বেশি টিম কাজ করছে।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বিরোধীদের একাংশ ‘মানুষকে উত্যক্ত করছে’ আর ‘সংবাদমাধ্য়মের একাংশ সেটা বড় করে’ দেখাচ্ছে। বিরোধীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, ‘শান্ত থাকুন। ক্ষান্ত দিন।’
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবার ঈদের নমাজে’ যোগ দিলেও এবার তা সম্ভব নয়। করোনা-সংক্রমণ থেকে বাঁচতে লকডাউনে এবার বাড়িতেই ‘ঈদ পালনের’ আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে, ২৫ মে থেকে বিমান পরিষেবা শুরু না করার জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকের সময়ে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে তিনি নির্দেশ দেন, ‘সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের কাছে আবেদন’ করতে। তিনি বলেন, ‘২৫ মে-র পরিবর্তে ৩০ মে থেকে বিমান পরিষেবা চালু হোক।’ প্রসঙ্গত, ২৬ মে পর্যন্ত বাংলায় শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালানো বন্ধ করার আবেদন জানিয়ে রেল মন্ত্রককে চিঠি লিখেছেন মুখ্যসচিব। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে রেল মন্ত্রকও।
এদিন কী বললেন মমতা?
শুনুন!
Be the first to comment