প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে রাহুলকে মেনে নিতে রাজি নয় বিজেপি বিরোধী জোটের সবাই। ক্রমেই প্রকাশ পাচ্ছিল সেটা। এই পরিস্থতিতে বাধ্য হয়ে সুর নরম করল কংগ্রেসও। আগেই ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে জোট তত্ত্বে সমঝোতার বার্তা দেওয়া হয়েছে। দেবগৌড়ার প্রধানমন্ত্রী পদে রাহুলকে সমর্থন কিছুটা আশা যোগালেও বিহারের তেজস্বী বা মায়াবতীর বক্তব্য আবার ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে কংগ্রেসের হাইকম্যান্ডকে। কার্যত সতর্কবার্তা দিয়ে মায়াবতী বলেন, আসনবণ্টন ঠিকমতো না হলে জোট হবে না।
গত সোমবার একটি অনুষ্ঠানে তেজস্বী খোলাখুলি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রবাবু নাইডু, শরদ পাওয়ার, মায়াবতীর মতো অনেক নেতা বিরোধী শিবিরে রয়েছেন। তাই কোনওভাবেই রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী পদে একমাত্র প্রার্থী বলা যায় না। যে দল বা দলের নেতা দেশের সংবিধানকে রক্ষা করতে পারবে তাঁকেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মেনে নেওয়া হবে।
ফলে বাধ্য হয়েই এবার মুখ খুললেন রাহুল। ঘনিষ্টমহলে পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, আরএসএস ও বিজেপি বিরোধী মহাজোটের যে কোনও নেতাকেই প্রধানমন্ত্রী পদে সমর্থন করতে আপত্তি নেই। সেই নেতা যদি মহিলাও হয়, তবুও তাঁর নেতৃত্ব মানতে রাজি তিনি। বলাবাহুল্য বিরোধী জোটের অন্যতম কাণ্ডারী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তাঁর দেখানো পথেই প্রথম দফায় কিছুটা হলেও ধাক্কা দেওয়া গেছে বিজেপিকে। তাই তাঁর নামই উঠে আসছে প্রথমে। ঘনিষ্ট মহলেও রাহুল আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রিত্বের থেকেও এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ হল বিজেপিকে হারানো। মমতা সম্পর্কে তাঁর মত, তৃণমূল নেত্রী কংগ্রেস থেকে এসেছেন। ফলে আরএসএসের সঙ্গে তিনি থাকবেন না। মায়াবতী বা মমতার নেতৃত্ব মেনে নেওয়ার কথা উঠলেও পাল্লা কিন্তু মমতার দিকেই ভারী। তবে এদিন নবান্ন থেকে বেরোনোর সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের জানান, তাকে বিজেপি বিরোধী জোট প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাইলেও তিনি নিজে এখনও এই বিষয়ে কিছু মনস্থির করেন নি।
Be the first to comment