গত মাসে দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লি। গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ৪০জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত বহু। এই ঘটনায় একেবারে গুজরাট মডেলের ধাঁচে হয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একাধিকবার দিল্লির ঘটনায় মোদী সরকারকে আক্রমণ করেছেন। এবার সরাসরি মালদহে তৃণমূলের মঞ্চ থেকে দিল্লির ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের অধীনে পুরো ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানালেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এর আগেই দিল্লির ঘটনাকে পরিকল্পিত গণহত্যা বলেও মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। একই সঙ্গে দিল্লিতে গুজরাত মডেল প্রয়োগ হয়েছে বলেও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তৃণমূলনেত্রীর।
দিল্লির ঘটনায় মর্মাহত তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিকল্পনা করেই দিল্লিতে সংঘর্ষ বাধানো হয়েছে বলে অভিযেগা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ‘দিল্লির ঘটনা পরিকল্পিত গণহত্যা, পরে এটিকেই সাম্প্রদায়িক হিংসা বলে চালানো হয়’, গত সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সভায় কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধে এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে দিল্লির সংঘর্ষকে ধিক্কারজনক বলেও মন্তব্য করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আজ বুধবারও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে কথায় উঠে আসে দিল্লির প্রসঙ্গ।
তিনি বলেন, দিল্লিতে যা ঘটে বাংলাতে তা হয় না। কিছু মানুষ টাকা নিয়ে বাংলায় অশান্তি ছড়াতে আসছে। এক্ষেত্রে বাংলার মানুষকে আরও সজাগ থাকার আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে বাংলা কোনও ভাবেই ভাগাভাগি হবে না বলে আরও এক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লির ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তোপ দেগে আরও বলেন “দিল্লিতে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের কারোর করোনায় মৃত্যু হয়নি। কারোর ডেঙ্গিতেও মৃত্যু হয়নি। দিল্লির হিংসা থেকে নজর ঘোরাতেই করোনা-করোনা করা হচ্ছে।”
মমতা আরও বলেন, “দিল্লিতে মৃতদেহের পাহাড় পাওয়া যাচ্ছে। এখনও ৭০০ মানুষ নিখোঁজ। অনেক মৃতদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছে না।” দিল্লি হিংসায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁরা হিন্দু না মুসলিম, এদিন কেন্দ্রের কাছে সেই জবাব তলব করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “যারা মারা গিয়েছে, তারা হিন্দু না মুসলিম, জবাব দিতে হবে ওদেরকে।” দিল্লির মত ছোট জায়গায় যারা আইন-শৃঙ্খলা সামলাতে পারেন না, তাদের বাংলা মিয়ে কথা বলা সাজে না বলেও কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Be the first to comment