করোনা থাকবেই কিন্তু তার মধ্যেই চাই গ্রাম বাংলার জাগরণ। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকার আগামী দিনে আরও বেশি দোকান-পাট খুলতে চায়। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে ধীরে ধীরে দোকান-পাট চালু করার পক্ষে রাজ্য সরকার। নবান্নে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বলেন, করোনা এখনই যাবে না, কিন্তু তা বলে থেমে থাকলে চলবে না, এমনই মত মুখ্যমন্ত্রীর। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সতর্ক থেকেই গ্রামাঞ্চলে দোকান-পাট খুলতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটা মানববাহিত রোগ। মানুষে-মানুষে ভেদাভেদ না করে সতর্ক হয়ে চলতে হবে।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মাস্ক পরে দোকানে যান। বিক্রেতারাও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মাস্ক পরে কেনাবেচা করুন। সংক্রমণ এড়াতে গ্লাভস ব্যবহার করুন। করোনা মোকাবিলায় ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সামাজি দূরত্ব বজায় রেখে গ্রামাঞ্চলে স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরতে হবে।’
যে এলাকাগুলিতে রেড জোন আছে সেখানেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে দোকান-পাট চালুর পক্ষে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই প্রশাসনকে রেড জোনকে তিন ভাগে ভাগ করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো যে এলাকায় করোনার সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি সেখানে ‘ধীরে চলো’ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাকি এলাকাগুলিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে দোকান চালু করা যেতে পারে। তবে হঠাৎ করে যদি সেই এলাকাগুলিতেও সংক্রমণ বাড়ে তড়িঘড়ি স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ করে দিতে হবে।এভাবেই এখন বেশ কিছুদিন চলতে হবে। রেড জোনে দোকান চালুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে স্থানীয় প্রশাসন। সরকারি আধিকারিকদের এলাকা নির্দিষ্ট করে সেখানে দোকান চালুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পাশাপাশি এদিন সাধারণ মানুষকেও সচেতন হওয়ার বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়ির বাইরে মাস্ক পরে বেরোতে অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গ্রামাঞ্চলে যাতে ১০০ দিনের কাজ স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে সেব্যাপারেও প্রশাসনিক কর্তাদের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Be the first to comment