আয়লার থেকেও ভয়ঙ্কর হতে পারে ঘূর্ণিঝড় আমফান: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Spread the love

আয়লার থেকেও ভয়ঙ্কর হতে পারে ঘূর্ণিঝড় আমফান, এমনই আশঙ্কা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় একাধিক পদক্ষেপ করছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই ৩ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে। আমফান মোকাবিলায় মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে গঠিত টাস্ক ফোর্স কাজ করছে।

‘মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো এই ঘূর্ণিঝড়’, মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এমনই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণেই আগামিকাল বেলা ১২টার পর বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসন সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিজড়ে কী হবে কেউ জানে না। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে টাস্ক ফোর্স কাজ করছে। পুলিশের নীচুতলাতেও সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করতে বলা হয়েছে।’

ঘূর্ণিঝড় আমফান নিয়ে সতর্ক রয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই ৩ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে। শুধু দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতেই ২ লক্ষ। মানুষকে ত্রাণ শিবিরগুলিতে সরানো হয়েছে।

আমফান সতর্কতায় এদিন মুখ্যমন্ত্রী যা বললেন –
আগামীকাল থেকে পরশু (বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার অবধি) বাড়ির বাইরে কেউ বেরোবেন না।
এই সময়ে কেউ সমুদ্রে যাবেন না।
দুই ২৪ পরগণার বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
তিন লক্ষ মানুষকে আশ্রয়স্থল সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ।
উত্তর ২৪ পরগণায় ৫০ হাজার, পূর্ব মেদিনীপুরে ৪০ হাজার, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১০ হাজার লোককে ইতিমধ্যেই সরানো হয়েছে।
আমফান নিয়ে সরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে।
অনেকে বলছেন আয়লার থেকেও ভয়ংকর হতে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়।
কন্ট্রোল রুম নম্বর – ২২১৪-৩৫২৬ এবং ২২১৪-১৯৯৫
ঘূর্ণিঝড়ে রাজ্যের (টোল ফ্রি) নম্বর – ১০৭০

এ দিকে আমফান নিয়ে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাজ্য প্রশাসনের একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করায় মুখ্যমন্ত্রী ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। দক্ষিণবঙ্গে ইতিমধ্যেই এই ঝড়ে প্রভাব শুরু হয়ে গিয়েছে। বুধবার সারাদিনই ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে অতিভারী বৃষ্টি হবে কলকাতায়। কলকাতায় সকালের দিকে এই ঝড়ে গতিবেগ থাকতে পারে ৭৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটার। হাওয়া অফিসের আশঙ্কা এই ঝড়ের গতিবেগ ১১০-১৩০ কিলোমিটারও হতে পারে।

এই আমফানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে দিঘা, মন্দারমণি, সুন্দরবনের সমুদ্র সৈকত এবং উপকূলবর্তী এলাকায়। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া-সহ বৃষ্টি মঙ্গলবার থেকেই শুরু হতে পারে। বুধবার গাঙ্গেয় বঙ্গের প্রায় সর্বত্র ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে। উম্পুনের প্রভাবে মঙ্গল ও বুধবার কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হুগলী, নদীয়ায় প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*