বুধবার দুপুর ১২টা থেকে বাইরে বেরোবেন না; নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

Spread the love

করোনার জেরে এমনিতেই বিপন্ন রাজ্যবাসী। তার মধ্যেই আমফানের ভ্রুকুটি। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী আমফান প্রস্তুতি নিয়েই সাংবাদিক সম্মেলন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অনুরোধ, আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে বাড়ি থেকে বেরোনো যাবে না।

মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার বলেন, “আমফান রাজ্যে আছড়ে পড়বে বুধবার দুপুর ২টো নাগাদ। এর পর ঝড় থেমে গেলেও বেরোনো চলবে না বাড়ি থেকে।” মুখ্যমন্ত্রীর যুক্তি,ঝড় থেমে গেলেও তার রেশ থাকে। তাই রাজ্য সরকার বৃহস্পতিবার সবুজ সংকেত না দেওয়া পর্যন্ত বাড়ি থেকে বেরোনো চলবে না।

আমফান মোকাবিলার প্রস্তুতি এদিন বিশদে ব্যখ্যা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানাচ্ছেন, সাগরদ্বীপ, মৌসুমী আইল্যান্ড, ফ্রেজারগঞ্জ, গোসাবা, নামখানা, গোলামারি, কাকদ্বীপ, বাসন্তী, ক্যানিংয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবার্তা-দুই চব্বিশ পরগণা করোনায় বেশি আঘাত হানবে। আমফানের প্রভাব প়ড়বে দুই মেদিনীপুরেও।

মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, সমস্ত জেলাশাসককে আমফান মোকাবিলার বিষয়ে জরুরি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনদিন ধরে সাম্ভাব্য এলাকয় কাজ করছে টাস্ক ফোর্স। প্রতিটি বুথে দুর্যোগ মোকাবিলার কাজ হচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানান, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় ২ লক্ষ মানুষকে সরানো হয়েছে। উত্তর চব্বিশ পরগণায় সরানো হয়েছে ৫০ হাজার মানুষকে। দুই মেদিনীপুর মিলিয়ে মোট ৫০ হাজার মানুষ রয়েছন ত্রাণশিবিরে। যাঁদের সরানো হয়েছে তাঁদের সামাজিক দূরত্ব রেখেই অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে মানুষকে থাকতে অনুরোধ করছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান এনডিআরএফ, এসডিআরএফ দল কাজ করছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। তিনি বৈঠকের শেষেও অনুরোধ করেন, দুর্যোগের মধ্যে যেন কেউ ত্রাণশিবিবর অথবা বাড়ি থেকে না বেরোন। রাজ্য পরিস্থিতির বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে জানানো হয়েছে, জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এছাড়াও এই দু’দিন ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের রাজ্যের শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরানো হবে না বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে বাড়তি বিপদ হতে পারে। রেলের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আগামী কাল সারারাত নবান্নের কন্ট্রোল রুমে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর- ২২১৪ ৩৫৩৬, ২২১৪ ১৯৯৫ ও টোল ফ্রি নম্বর ১০৭০। এদিন সকালেই আমফান নিয়ে উপকূল এলাকার প্রস্তুটতি জানতে মমতাকে ফোন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি, আমরা ঠিক আছি। সব ব্যবস্থা করছি। বুলবুলের সময়েও করেছি।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*