একদিকে করোনা, অন্যদিকে আমফান, বাংলার উপরে আছড়ে পড়েছে একটার পর আঘাত। তবুও কোনো কাজই থেমে থাকেনি বাংলায়। বিশ্ব পরিবেশ দিবসে হরিশ পার্কে বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে গিয়ে একথাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একটার পর একটা বিপর্যয় বাংলার উপর দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমফানের মতো বড়ো বিপর্যয় আগে ঘটেনি। এক দিকে কোভিড-১৯, অন্য দিকে ঘূর্ণিঝড়। তবে কোনো কাজই থেমে থাকেনি। গত ১০ দিনের মধ্যে পাঁচ লক্ষ গৃহহীনের কাছে টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মৎস্যজীবী, পশুপালক এবং কৃষকদের কাছে আর্থিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ২৫ লক্ষ কৃষককে, ১ লক্ষ পান বরোজের মালিককে আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তিন মাস ধরে রাজ্যের কোনো আয় নেই। কিন্তু সরকারি কর্মীদের বেতন, পেনশন দিতে হচ্ছে। প্রতি মাসে আমাদের সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা করে রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। কারও আয় নেই। কিন্তু সরকারি কর্মীদের বেতন দিতে হচ্ছে, একই সঙ্গে করোনা এবং আমফানের মোকাবিলায় টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। রাজ্যের ঘাড়ে বিপুল ঋণের বোঝা, ৫৫ হাজার কোটি টাকার দেনা শোধ করতে হচ্ছে। তবুও আমরা প্রতিমাসের ১ তারিখে নিয়মিত সরকারি কর্মীদের বেতন দিতে পারছি। অন্য রাজ্য বেতন ছাঁটাই করলেও আমরা সে পথে হাঁটিনি।
মমতা জানান, দূষণ নিয়ন্ত্রণে এবং পরিবেশকে বাঁচাতে কলকাতায় ৫০ হাজার গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আমফানের তাণ্ডবে সুন্দরবনে প্রচুর ম্যানগ্রোভ ভেঙে পড়েছে। উপকূলে ম্যানগ্রোভ লাগানোর কাজ চলছে। অন্য দিকে ১৪ জুন বন দিবস থেকে আমরা সাড়ে তিন কোটি গাছ লাগানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি সারা রাজ্যজুড়ে।
তিনি আরও বলেন, দুর্যোগ নিয়েও বাংলায় রাজনীতি চলছে। বাংলার প্রতি বঞ্চনা করছে কেন্দ্র। আমি বলতে চাই, রাজনীতি না করে প্রত্যেকে মিলে আসুন করোনা এবং দুর্যোগের মোকাবিলা করি।
দেখুন ভিডিও!
Be the first to comment