একুশে জুলাই পরবর্তী তৃণমূলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে অভিষেক দুটি কর্মসূচি ঘোষণা করেন। প্রথমটি, দিল্লি চলোর ডাক। রাজ্যের দাবি-দাওয়া আদায়ে এবং বঞ্চনার প্রতিবাদে আগামী ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীতে দিল্লি অভিযান তৃণমূলের। দ্বিতীয় কর্মসূচি হল বঙ্গ বিজেপি নেতাদের ঘেরাও অভিযান। আগামী ৫ আগস্ট কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ যত বিজেপি নেতা আছেন, তাঁদের বাড়ির বাইরে ঘেরাও অভিযান করবেন তৃণমূল কর্মীরা। ব্লক স্তর থেকে শুরু করে বুথ স্তর পর্যন্ত, ছোট, বড়, মেজো সব বিজেপি নেতার বাড়ি ঘেরাও করা হোক। অভিষেকের দাবি,
এই বিজেপি নেতাদের জন্যই কেন্দ্র বাংলার প্রাপ্য টাকা আটকেছে।
অভিষেক জানান, ওই বিজেপি নেতার বাড়ির কোনও বয়স্ক সদস্য থাকলে তাঁরা যাতায়াত করতে পারবেন। কিন্তু ওই বিজেপি নেতা যেন বাড়ি থেকে বেরতে না পারে। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ ৩৪১ ব্লকের সব বুথে এই কর্মসূচি চেয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তবে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কর্মসূচি সামান্য পরিবর্তন করেন। তিনি মঞ্চ থেকে জানিয়েছেন, অভিষেকের ঘোষিত কর্মসূচি সফল করতে হবে, তবে তিনি চান বুথ স্তর নয়, ব্লকে ব্লকে ঘেরাও কর্মসূচি হোক।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “অভিষেক যে কর্মসূচির কথা বলেছে, সেটা আমি বলব শুধু ব্লক স্তরেই করো। বিজেপি নেতাদের বাড়ি থেকে অন্তত ১০০ মিটার দূরত্ব রেখে করো। যাতে যাতায়াতে অসুবিধা হয়। যাতে কেউ বলতে না পারে আমাদের হ্যারাস করা হয়েছে।” পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, “ওটা প্রতীকী ঘেরাও হোক।”
অন্যদিকে, দিল্লি চলো অভিযান নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, বাংলার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লির বুকে আন্দোলন হবে গান্ধীজির জন্মদিনে। যদি আটকায়, তাহলে যেখানে আটকাবে সেখান থেকেই দিল্লিতে আওয়াজ যাবে। একইসঙ্গে তিনি জানান, পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের সবুজ সংকেত পেলেই, তা যেন শুরু করে দেওয়া হয়।
Be the first to comment