করোনাভাইরাসের আক্রমণ হোক কিংবা আমফান তাণ্ডব, রাজ্যের রাশ শক্তহাতে ধরে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। এবার প্রশাসনিক পর্যায়ে সেই ক্ষমতা বহাল রাখতে বেশ কিছু কাঠামোগত বদল আনলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা। পশ্চিমবঙ্গের সিভিল সার্ভিস আধিকারিকরা এবার থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণাধীন থাকবেন এমনটাই স্থির হয়েছে।
অ্যানুয়াল কনফিডেনশিয়াল রিপোর্টের কাঠামো পরিবর্তন এবং সংশোধন করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার (বিডিও) এবং উপ-বিভাগীয় আধিকারিকদের (এসডিও)-কে মুখ্যমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণাধীনে আনা হয়।
তবে এই পরিবর্তনের জেরে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে তৃণমূল সরকার। রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলের দাবি আগামী বছরে বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ন্ত্রণে আনতেই এই চেষ্টা। যদিও তৃণমূল সরকারের তরফে বলা হয়েছে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে একদম নীচুতলায় যে দুর্নীতি হয় তা ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
শুক্রবারই পার্সোনেল অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ দফতর থেকে এই ঘোষণাটি করা হয়। দেখা গিয়েছে এই মূল্যায়ণ ব্যবস্থা মূলত তিন স্তরের। প্রতিটি আধিকারিকদের তাদের উর্ধ্বতন অফিসারের কাছে রিপোর্ট করতে হবে। সেই রিপোর্ট পরবর্তীতে যাবে রিভিউ করবেন সেই অফিসারের কাছে। এরপর তা যাবে সর্বশেষ কর্তৃপক্ষের কাছে।
এতদিন বিডিওদের রিপোর্ট যেত ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে। এসডিওদের রিপোর্ট যেত পার্সোনেল অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ দফতরে। কিন্তু নয়া নিয়মে এসডিও এবং বিডিওদের রিপোর্ট যাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। বিডিও এবং এসডিও ছাড়াও ভূমি সংস্কার কর্মকর্তা, ডাব্লুবিসিএস ক্যাডারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটস, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা পরিষদের অতিরিক্ত কার্যনির্বাহী আধিকারিকরাও এই নিয়মের আওতায় পড়বেন।
Be the first to comment