ভাড়া বৃদ্ধির প্রশ্নে অনড় বাসমালিকদের একাংশের জন্য এবার ১ জুলাই পর্যন্ত সময়সীমা স্থির করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর রাস্তায় বাস না নামালে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী, সরকারই চালকের ব্যবস্থা করে বেসরকারি বাস (Private Bus) রাস্তায় নামাবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মহাদুর্ভোগের সময় বাস মালিকদের ‘শুভবুদ্ধি’র আশা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাড়া বৃদ্ধিতে অনড় বাসমালিকদের উদ্দেশে তাঁর পরামর্শ, ‘এটা দরাদরি করার সময় নয়।’
ভাড়ি বৃদ্ধি প্রশ্নে বাস মালিকদের একাংশ বাস না নামানোয় মঙ্গলবারও ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। অনেক জায়গাতেই সরকারি বাসে ওঠার জন্য যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি দেখা গিয়েছে। মঙ্গলবার বাস মালিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদের। কিন্তু, বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট এবং বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতি সোমবার জানিয়ে দেয়, অনুদান স্থায়ী সমাধান নয়। ফলে আজকের বৈঠক ভেস্তে যায়। বাসমালিকদের অনড় এই মনোভাবে অসন্তুষ্ট ছিল নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকেও তাঁর আঁচ মিলেছে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘ডিজেলের দাম কমলে তো ভাড়া কমানো হয় না। তাহলে দাম বাড়লে ভাড়া বাড়ানোর দাবি কেন?’ ভর্তুকির কথা মনে করিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘টাকা না থাকা সত্ত্বেও সরকার ২৭ কোটি দিতে রাজি ছিল। যাতে মানুষের পকেট থেকে বাড়তি না যায়। আপনারা ইগোর লড়াই বন্ধ করুন।’ ১ জুলাই থেকে ৬ হাজার বেসরকারি ও মিনিবাসকে রাস্তায় নামার অনুরোধ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এর আগে পর পর তিন মাস বাসগুলিকে ১৫ হাজার আর্থিক সহযোগিতার কথা ঘোষণা করেছিলেন। পাশাপাশি বাসের চালক ও কন্ডাক্টরদের স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় এনে ₹৫ লাখ পর্যন্ত চিকিৎসা বিমার সুযোগও ঘোষণা করেছিলেন।
সরকারি সাহায্য নিতে অস্বীকার করে ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতেই অনড় অধিকাংশ বাসমালিক। সরকারের ‘উৎসাহ ভাতা’ কখনই ভাড়া বৃদ্ধির বিকল্প হতে পারে না, তা জানিয়ে দিয়েছিল বাস মালিক সংগঠন। প্রসঙ্গত, বেসরকারি বাসমালিকদের বিভিন্ন সংগঠন ন্যূনতম ভাড়া ৭-এর বদলে ১০ থেকে ১৫ পর্যন্ত করার দাবি জানিয়েছে।
Be the first to comment