৯ জুলাই বিকেল পাঁচটা থেকে রাজ্যের তিন জেলার কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে কড়া লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার ৷ বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সংক্রমণ কমাতে আপাতত সাতদিনের জন্য লকডাউন ৷ সাতদিন পরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ৷
কলকাতা, উত্তর চব্বিশ পরগণা এবং হাওড়া জেলায় বৃহস্পতিবার বিকেলে থেকেই সম্পূর্ণ লকডাউন ৷ ৩ জেলার কোথায় কোথায় কন্টেইনমেন্ট জোন হবে, এ দিনই তার বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা করবে রাজ্য সরকার ৷
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ আর বাফার জোন মিলে কন্টেইনমেন্ট জোন ৷ কয়েকটি ছোট ছোট জায়গা করে কন্টেইনমেন্ট করা হবে ৷ সংক্রমণ রুখতে কড়াভাবে মানতেই হবে লকডাউন ৷ কোনও এলাকায় বেশি আক্রান্ত থাকলেই কন্টেইনমেন্ট ৷’
জানা গিয়েছে, কন্টেইনমেন্ট জোনে বন্ধ থাকবে সমস্ত সরকারি-বেসরকারি অফিস, কারখানা এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান৷ কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে বন্ধ থাকবে সবরকম যানবাহন চলাচল৷ শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্য এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান খোলা থাকবে বলে জানা গিয়েছে৷ অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবাও চালু থাকবে৷ বাজার ও অত্যাবশকীয় পণ্য পৌঁছে দেবে স্থানীয় প্রশাসন ৷ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে সুফল বাংলার স্টল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে যাতে বাজার পেতে অসুবিধা না হয় ৷
অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগণার কন্টেইনমেন্ট জোনের তালিকা দেখে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর অভিযোগ, কেস স্টাডি না করে রাজপুর- সোনারপুর, ডায়মন্ড হারবার পুর এলাকাগুলির প্রায় সব ওয়ার্ডই কন্টেইনমেন্ট তালিকায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার তালিকা নতুন করে তৈরির জন্য নির্দেশ দেন ৷
তাই এদিন কলকাতা, হাওড়া এবং উত্তর চব্বিশ পরগণার কন্টেইনমেন্ট জোন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করার অনুমতি দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তবে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার তালিকা নতুন করে তৈরি হওয়ার পর আলাদাভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
দেখুন কনটেইনমেন্ট জোনের তালিকা-
Be the first to comment