মানবিক মুখ্যমন্ত্রী, ন’হাজার পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে সাহায্য

Spread the love

লকডাউনের মধ্যেও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। বিভিন্ন ভাবে আর্থিক সাহায্য করা হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে রেশন। আয় নেই, তাও মানুষের জন্যে ভাবছে সরকার। বারবার এমন বক্তব্য উঠে এসেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে। এই পরিস্থিতিতেও আরও মানবিক মুখ্যমন্ত্রী।

লকডাউন, রাজ্যের অর্থনীতির অবস্থা খারাপ থাকা সত্ত্বেও কৃষকদের পাশে আর্থিক সাহায্য নিয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে যে সমস্ত কৃষক মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের হাতে দু’লাখ টাকা করে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ রাজ্যে মে মাস পর্যন্ত ৯ হাজার ৪৯৫ জন কৃষক পরিবার ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের আওতায় এই সাহায্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্যের দীর্ঘদিনের একটি প্রকল্প ‘কৃষক বন্ধু’। যে সমস্ত কৃষক ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে মারা যান, তাঁদের পরিবারকে ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের আওতায় এই আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের এটি একটি মানবিক সিদ্ধান্ত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিক সিদ্ধান্তে রাজ্যের বহু কৃষক উপকৃত হন।

এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, শুধু যে মৃত কৃষকের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে তা নয়, বছরে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত অনুদানও দেওয়া হয়েছে ৪৩ লাখ কৃষক পরিবারকে। এর পাশাপাশি যে সমস্ত কৃষক বয়সের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, তাঁদের পেনশন মাসে ৭৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এক লাখ কৃষককে এই পেনশন দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন আশিসবাবু।

তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার সময় কৃষকের গড় বার্ষিক আয় ছিল ৯১ হাজার টাকা। সেই আয় বেড়ে বছর দু’য়েক আগেই ২ লাখ ৯১ হাজার টাকা হয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*