শুক্রবারই রাজ্যের মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দেন শুভেন্দু। আর এর মধ্যেই তৃণমূলে শুরু হয়েছে পরিকল্পনা। যেসব জেলার দায়িত্ব শুভেন্দু সামলাতেন, সেখানে কী কর্মসূচী নেওয়া হবে, তার রূপরেখা তৈরি করা হচ্ছে।
দলের কর্মীদের ওই সব এলাকায় রাস্তায় নামার নির্দেশ দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় জেলায় রাজনৈতিক কর্মসূচি রূপরেখা তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে। ৭ ডিসেম্বর থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া , বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ ও মালদহে যাচ্ছেন দলনেত্রী নিজে। একসময়ে এই পাঁচ জেলায় তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
একসময়ে বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদায় তৃণমূলের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কয়েক মাস আগে পর্যবেক্ষকের পদটি তুলে দেওয়া হয়। তার বদলে তৈরি করা হয় স্টিয়ারিং কমিটি ও কো-অর্ডিনেশন। তৃণমূলের অন্দরের খবর, এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি শুভেন্দু। এই নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে শুভেন্দুর মতপার্থক্যের সূত্রপাত্র। যদিও সাম্প্রতিককালে দলের ব্যানার ছাড়াই বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিতে পাঁচ জেলাতেই গিয়েছেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারী ইস্তফা দিতেই, প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই দলের মালদহ জেলার কোর কমিটিতে বৈঠকে ডাকলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।
আগামীকাল, শনিবার তৃণমূল ভবনে বৈঠকে হওয়ার কথা। ওই কোর কমিটিতে মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসে কোর কমিটির চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সভাপতি মৌসম বেনজির নুর, আছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল, প্রাক্তন দুই মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী ও সাবিত্রী মিত্র।
এ ছাড়া তিনজন কো-অর্ডিনেটর দুলালচন্দ্র সরকার, অম্লান ভাদুড়ী ও মানব বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আট সদস্যকেই জরুরি ভিত্তিতে তলব করা হয়েছে। কিন্তু কেন এই জরুরি তলব? রাজনৈতিক মহল মনে করছে, দীর্ঘদিন মালদহে দলের তরফে পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
Be the first to comment